বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ডিএ ইস্যুতে বহুদিন ধরে বিক্ষোভ-আন্দোলন চালাচ্ছেন রাজ্য সরকারি কর্মীদের একটা অংশ। দীর্ঘ সময় ধরে সরকারি কর্মচারীদের সংগঠন সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন চালাচ্ছে। একাধিক ইস্যুতে আগামী ২৩ জানুয়ারি গ্রুপ ডি ঐক্যমঞ্চ ধর্নার অনুমতি চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হয়েছিল। উচ্চ আদালত ধর্নার অনুমতি দিয়েছে।
শর্তও দিল আদালত – Calcutta High Court
মঙ্গলবার হাইকোর্টের বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের এজলাসে এই মামলার শুনানি ছিল। গ্রুপ ডি ঐক্যমঞ্চের ধর্নার অনুমতি দিয়েও শর্ত বেঁধে দিয়েছেন বিচারপতি। হাইকোর্ট জানিয়েছে, মন্দিরতলা বাসস্ট্যান্ডের সামনে হতে চলা ওই ধর্নায় ৩০০ জনের বেশি মানুষ অংশগ্রহণ করতে পারবেন না।
আদালতের নির্দেশ মত নিজেদের দাবি নিয়ে মুখ্যসচিবের সঙ্গে দেখা করেছিলেন তারা। তবে তাতেও কোনো সুরাহা না হওয়ায় নবান্নের সামনে ধর্নায় বসার সিদ্ধান্ত নিয়েছে গ্রুপ ডি ঐক্য মঞ্চের সদস্যরা। আগামী ২৩ ও ২৪ জানুয়ারি নবান্ন বাস স্ট্যান্ডে ধর্না করতে চেয়ে পুলিশের অনুমতি চেয়েছিলেন তারা। পুলিশ তরফে অনুমতি না মেলায় হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় মঞ্চ।
মঙ্গলবার মঞ্চের আবেদনে সায় দিল আদালত। প্রসঙ্গত বহুদিন ধরে বকেয়া ডিএ সহ বিভিন্ন ইস্যুতে সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই চালাচ্ছে সরকারি কর্মচারীদের সংগঠন সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। বর্তমানে ১৪% হারে ডিএ পাচ্ছে রাজ্য সরকারি কর্মীরা ওদিকে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের ডিএ-র পরিমাণ বেড়ে হয়েছে ৫৩%। এই অবস্থায় ৩৯ শতাংশ বকেয়া ডিএ ও সরকারি বিভিন্ন ক্ষেত্রে শূন্যপদে নিয়োগের দাবিতে আওয়াজ তুলেছে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ।
আরও পড়ুন: ‘এক্সট্রা টাকা দিয়ে..’ সুপ্রিম কোর্টে ঝুলছে OBC মামলা! এরই মাঝে সংরক্ষণ নিয়ে বড় দাবি মমতার
আগেই বকেয়া ডিএ, শূন্যপদে নিয়োগ সহ একাধিক দাবিকে সামনে রেখে পথে নামার হুঁশিয়ারি দিয়েছিল ঐক্যমঞ্চ। ওদিকে দীর্ঘদিন ধরে ২০১৭ সালের রাজ্য গ্রুপ ডি ওয়েটিং কর্মপ্রার্থীরা স্বচ্ছ নিয়োগের দাবিতে রাস্তায় নেমেছেন। রাজ্য সরকারের কাছে নিজেদের দাবি নিয়ে আওয়াজ তুলতে নবান্নের সামনে ধর্নায় বসার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তারা।