বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সোমবার কর্মবিরতির ডাক দিয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court) সহ রাজ্যের সকল আদালতের আইনজীবীরা (Lawyers)। সম্প্রতি অ্যাডভোকেট বিলে সংশোধন করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ হিসেবেই কর্মবিরতির ডাক দেওয়া হয়েছিল। এবার বার কাউন্সিলের সঙ্গে বৈঠকের পর এই নিয়েই বড় সিদ্ধান্ত নিয়ে নেওয়ায় হল।
হাইকোর্ট (Calcutta High Court) সহ সকল আদালতের আইনজীবীরা কর্মবিরতির সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন!
সম্প্রতি অ্যাডভোকেট বিলে সংশোধন (Advocates Amendment Bill) করা হয়েছে। এই নিয়ে পশ্চিমবঙ্গ বার কাউন্সিলের অভিযোগ ছিল, নতুন বিধিতে সংশোধনী আইনে আইনজীবীদের ধর্মঘটের অধিকার কেড়ে নেওয়া হচ্ছে। তার প্রতিবাদ স্বরূপ একদিনের কর্মবিরতির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তবে বার কাউন্সিলের সঙ্গে বৈঠকের পর সেই কর্মবিরতি প্রত্যাহার করে নেওয়া হল।
জানা যাচ্ছে, সেই বৈঠকে আইনজীবীদের দাবি নিয়ে বার কাউন্সিল ইতিবাচক আশ্বাস দিয়েছে। অ্যাডভোকেট আইনের সংশোধনীর যে খসড়া রয়েছে, তাতে আইনজীবীদের, কাউন্সিলগুলির যুক্তি নিয়ে বিবেচনা করা হবে এমন আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। এরপরেই আজকের কর্মবিরতি প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত নেন আইনজীবীরা।
আরও পড়ুনঃ চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে লাখ টাকা ঘুষ! তৃণমূল নেত্রীর কীর্তিতে শোরগোল
গত শুক্রবার সংশোধনী আইন নিয়ে বৈঠকে বসেছিলেন রাজ্য বার কাউন্সিলের সদস্যরা। সেখানেই প্রতিবাদ স্বরূপ একদিনের কর্মবিরতির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। অধিকারের দাবিতে আন্দোলনের ঘোষণা করেন কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court) সহ রাজ্যের সকল আদালতের আইনজীবীরা। কিন্তু বার কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়ার সঙ্গে রাজ্য বার কাউন্সিলগুলির বৈঠক সদর্থক হওয়ার জন্য শেষ মুহূর্তে সোমবারের কর্মবিরতি প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
আইনজীবীরা ইচ্ছা মতো কর্মবিরতির ডাক দিতে পারবেন না। সমষ্টিগত কিংবা সংগঠনের ব্যানারেও করা যাবে না। আন্দোলনের নামে বিচার ব্যবস্থাকে ব্যাহত করা কিংবা আদালত বয়কটও সহ্য করা হবে না। আইনজীবীদের ধর্মঘটেও রাশ টানতে এই সংশোধনী আইন আনা হচ্ছে।
সেখানে স্পষ্ট উল্লেখ রয়েছে, আইনজীবীরা নিজেদের প্রতিবাদকে ধর্মঘট, আন্দোলন, বয়কট যে নামই দিক না কেন, বিচারপ্রার্থীরা যেন একদিনের জন্যেও সমস্যার সম্মুখীন না হন। বয়কট অথবা আন্দোলনের জন্য যদি বিচার প্রক্রিয়া ব্যাহত হয় অথবা আমজনতাকে ফিরে যেতে হয়। তাহলে সেই প্রতিবাদকে অবৈধ বলে ঘোষণা করা হবে। এর প্রতিবাদেই কর্মবিরতির ডাক দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court) সহ রাজ্যের অন্যান্য সকল আদালতের আইনজীবীরা। তবে শেষ মুহূর্তে সেই কর্মবিরতি প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়।