বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ফের কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) প্রশ্নের মুখে পুলিশের ভূমিকা। দু’টি ভিন্ন মামলায় পুলিশের ভূমিকায় অসন্তোষ প্রকাশ করল উচ্চ আদালত। শুধু তাই নয়! কড়া নির্দেশও দিলেন বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ।
পুলিশের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)!
এক প্রোমোটারকে বাঁচানোর জন্য নিউ টাউনের আইসির ভূমিকায় এদিন অসন্তোষ প্রকাশ করেন জাস্টিস ঘোষ (Justice Tirthankar Ghosh)। সংশ্লিষ্ট আইসির বিরুদ্ধে বিভাগীয় পদক্ষেপের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। একইসঙ্গে নারায়ণপুর থানা এলাকার একটি জমি দখল সংক্রান্ত মামলাতেও উষ্মা প্রকাশ করেছেন বিচারপতি।
নারায়ণপুর থানা এলাকায় জমি দখল আটকানোর জন্য মালিক অভিযোগ দায়ের করেন। এরপর তাঁর রাজারহাটের বাড়িতে চড়াও হন দুষ্কৃতীরা। অভিযোগকারীর বাড়িতে গিয়ে হামলাকারীরা হুমকি-মারধর চালায় বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় থানা পদক্ষেপ না নিয়ে হাইকোর্টকে (Calcutta High Court) বিভ্রান্ত করার জন্য সরকারি কৌঁসুলিকে সতর্কবার্তা দেন জাস্টিস ঘোষ।
আরও পড়ুনঃ লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নিয়ে নতুন নিয়ম! না মানলে মিলবে না টাকা! সমস্যায় পড়ার আগেই জানুন
বিচারপতি স্পষ্ট বলেন, ‘এমন গুরুত্বপূর্ণ থানার দায়িত্বে এমন আইসির থাকার কোনও অধিকার নেই। তাঁকে সরিয়ে দিতে বলুন। নাহলে আদালত তাঁকে সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেবে’। নিউ টাউন এবং নারায়ণপুর, দুই ঘটনাতেই পুলিশের ভূমিকায় তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করে উচ্চ আদালত।
জানা যাচ্ছে, বিধাননগরের নারায়ণপুর থানা এলাকায় রাতারাতি ৩ কাঠা জমি দখল হয়ে যায়। জমির মালিক এই নিয়ে বাধা দিতে গেলে হুমকির মুখে পড়তে হয়। এই বিষয়ে তিনি নারায়ণপুর থানার দ্বারস্থ হতেই দুষ্কৃতী বাহিনী রাজারহাট অঞ্চলে অভিযোগকারীর বাড়িতে গিয়ে হামলা চালায় বলে অভিযোগ। সেই ঘটনার প্রেক্ষিতে রাজারহাট থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। পাল্টা হামলাকারীরাও অভিযোগ করেন। শেষমেশ হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন জমির মালিক।
সেখানে মামলাকারী ব্যক্তির বিরুদ্ধে যে অভিযোগ হয়েছে, দু’বার তার তদন্ত রিপোর্ট হাইকোর্টে পেশ করে পুলিশ (Police)। তাতে বিরক্ত হয়ে ফের নতুন করে রিপোর্ট তলব করে আদালত। একইসঙ্গে ওই আইসির বিরুদ্ধে পদক্ষেপের ইঙ্গিতও দেওয়া হয়।
অন্যদিকে বিধাননগর পুলিশকে হাইকোর্টের (Calcutta High Court) নির্দেশ, নিউ টাউনের আইসির বিরুদ্ধে বিভাগীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করে পরবর্তী শুনানির দিন আদালতকে সেই বিষয়ে জানাতে হবে। একইসঙ্গে আগামী দিনে মামলাকারীর অভিযোগের তদন্ত করে বিভাগীর ডিসিসে উচ্চ আদালতে রিপোর্ট পেশ করতে হবে বলে নির্দেশ দিয়েছে আদালত।