বাংলা হান্ট ডেস্কঃ কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) তরফ থেকে স্পষ্ট নির্দেশ রয়েছে, ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালের ৩ কিলোমিটারের মধ্যে কাঠের উনুন কিংবা জীবাশ্ম জ্বালানি জ্বালানো যাবে না। কিন্তু তা সত্ত্বেও গঙ্গাসাগর যাওয়ার পথে বহু পুণ্যার্থীকে দেখা যাচ্ছে, ময়দানের অস্থায়ী শিবিরে আগুন জ্বালিয়ে রান্নাবান্না করছেন। কেউ আবার হাত সেঁকছেন। এই আবহে এবার কলকাতা পুরসভাকে (Kolkata Municipal Corporation) বড় নির্দেশ দিয়ে দিল উচ্চ আদালত।
কেএমসি-কে কী নির্দেশ দিল হাইকোর্ট (Calcutta High Court)?
ঐতিহাসিক ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালকে দূষণের হাত থেকে বাঁচানোর জন্য বিগত কয়েক বছরে একাধিকবার কলকাতা হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছে, প্রকাশ্যে উনুন জ্বালানো যাবে না। কিন্তু তা সত্ত্বেও দেখা যাচ্ছে সেই নির্দেশকে কার্যত বুড়ো আঙুল দেখিয়ে কোথায় কাঠ, কোথাও কয়লা, কোথাও আবার কেরোসিনের স্টোভ জ্বালিয়ে খোলা আকাশের নীচে দেদার রান্নাবান্না চলছে।
সম্প্রতি গঙ্গাসাগরের পথে যাওয়ার পথে বহু পুণ্যার্থীকেও দেখা যায়, ময়দানের অস্থায়ী শিবিরে আগুন জ্বালিয়ে রান্না করছেন, হাত সেঁকছেন। জানা যাচ্ছে, পরিবেশকর্মী সুভাষ দত্ত এমনই বেশ কিছু ছবি নিয়ে হাইকোর্টে (Calcutta High Court) হলফনামা পেশ করেন। এই নিয়ে আগামী শুক্রবার জরুরি ভিত্তিতে শুনানি চেয়েছে উচ্চ আদালতের বিচারপতি দেবাংশু বসাক ও বিচারপতি শম্পা সরকারের ডিভিশন বেঞ্চ। সেদিন কলকাতা পুরসভাকে জানাতে হবে, গঙ্গাসাগরের পুণ্যার্থীদের আগুন জ্বালানোর ক্ষেত্রে কী বিকল্প ব্যবস্থা করা হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ উচ্চমাধ্যমিকের আগেই বড় খবর! ফের সিলেবাসে পরিবর্তন! বিরাট ঘোষণা শিক্ষা সংসদের
জানা যাচ্ছে, গত সোমবার কলকাতা হাইকোর্টে এই মামলার শুনানি ছিল। বিচারপতি বসাক ও বিচারপতি সরকারের ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ, ময়দানের অস্থায়ী শিবিরগুলিতে কত সংখ্যক পুণ্যার্থী থাকেন, সেটা অবিলম্বে পুরসভাকে (KMC) সমীক্ষা করে দেখতে হবে। সেই সঙ্গেই দেখতে হবে ওই পুণ্যার্থীদের রান্নার জন্য কতগুলি উনুন জ্বালানো হয়।
জানা যাচ্ছে, পুণ্যার্থীদের অস্থায়ী শিবিরের শৌচালয়গুলির নিকাশি ব্যবস্থাও তেমন মজবুত নয় বলে অভিযোগ। সেই নিয়েও পুরসভাকে রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। আদালত জানিয়েছে, পরিবেশ দূষণ না করে ওই পুণ্যার্থীদের শৌচালয়ের বর্জ্য কীভাবে স্থায়ী নিকাশি নালার সঙ্গে যুক্ত করা যায় সেটা পুরসভাকে রিপোর্ট দিয়ে জানাতে হবে। এর পাশাপাশি পুণ্যার্থীদের রান্নাবান্নার জন্য কোন বিকল্প জ্বালানির বন্দোবস্ত করা যেতে পারে সেটাও কেএমসিকে রিপোর্টে জানাতে হবে। আগামী শুক্রবারের মধ্যে কলকাতা পুরসভাকে রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
হাইকোর্টের (Calcutta High Court) আরও নির্দেশ, একবার সমীক্ষা করে কলকাতা পুরসভা বসে থাকলে চলবে না। ভিক্টোরিয়ার ৩ কিমির মধ্যে যাতে কোনও রকম জ্বালানি না জ্বলে সেটা সুনিশ্চিত করতে তিন মাস অন্তর নজরদারি চালাতে হবে।