বাংলা হান্ট ডেস্কঃ দুর্গাপুজো কার্নিভাল ভার্সাস দ্রোহ কার্নিভাল। উৎসবের মাঝেই মঙ্গলবার ফের নয়া প্রতিবাদের কর্মসূচির ঘোষণা করেছেন চিকিৎসক সংগঠন জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অফ ডক্টরস। ওদিকে একই দিনে জোড়া কর্মসূচি হওয়ায় ধর্মতলার আশেপাশের কিছু এলাকায় ১৬৩ ধারা জারি করে কলকাতা পুলিশ (Kolkata Police)। দ্রোহ কার্নিভাল আটকাতে রাস্তায় রাস্তায় বসানো হয় ব্যারিকেট। এরপরই রানি রাসমণি অ্যাভিনিউয়ে কলকাতা পুলিশের ১৬৩ ধারাকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে মামালা (Calcutta High Court) করেন চিকিৎসকেরা। সেই মামলাতেই আদালতে জোর ধাক্কা খেল রাজ্য সরকার (Government Of West Bengal)।
ভাঙল লৌহকপাট, বাধা নেই ডাক্তারদের কার্নিভালে..
হচ্ছে দ্রোহ কার্নিভাল। সমাজের যে কোনো মানুষ সেখানে জড়ো হতে পারেন। সাফ জানিয়ে দিল কলকাতা হাইকোর্ট। এদিন বিচারপতি রবি কিষাণ কাপুরের বিশেষ বেঞ্চে এই মামলা শুনানির জন্য ওঠে। সেখানেই বিচারপতির মন্তব্য, ১৬৩ ধারা জারি অসামঞ্জস্যপূর্ণ। দুটো কার্নিভাল নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা কি রাজ্যের নেই? প্রশ্ন তোলেন বিচারপতি। এরপরই দ্রোহের কার্নিভালে অনুমতি হাইকোর্টের। হাইকোর্টের নির্দেশের পর খোলা হচ্ছে ব্যারিকেট। উচ্ছাসে ফেটে পড়েছে নাগরিক সমাজ।
দুর্গাপুজোর পর মঙ্গলবার রেড রোডে দুর্গাপুজো কার্নিভাল। প্রতিবারের মতো সেই নিয়ে আগেই দিনক্ষণ ঘোষণা হয়ে গিয়েছিল। এরই মধ্যেই উৎসবের কার্নিভাল বয়কট করে একইদিনে দ্রোহ কার্নিভালের ডাক দেয় চিকিৎসক সংগঠন জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অফ ডক্টরস। তবে এতেই আপত্তি জানায় পুলিশ। পুলিশের দাবি ছিল, একই দিন দুই কর্মসূচি হলে অশান্তি হতে পারে। এরপরই মঙ্গলবার সকালে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে ধর্মতলার আশেপাশে কিছু এলাকায় জমায়েত নিষিদ্ধ করে দেয় কলকাতা পুলিশ। ওই সমস্ত জায়গায় ১৬৩ ধারা জারি করার কথাও বলা হয়।
আরও পড়ুন: প্রতিশ্রুতি দিয়েও কথা রাখল না বাংলাদেশ! ২৪ লক্ষ কেজির পরিবর্তে ভারতে এল মাত্র ৫.৫ লক্ষ কেজি ইলিশ
কলকাতার পুলিশ কমিশনার মনোজ বর্মা এদিন সকাল একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে শহরের বুকে অন্তত ৭টি জায়গায় জমায়েত নিষিদ্ধ করার কথা বলেন। যার মধ্যে ছিল রানি রাসমণি রোড, মেয়ো রোড আউটরাম রোড সহ বেশ কিছু জায়গায় নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। পুলিশের এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল চিকিৎসক সংগঠন জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অফ ডক্টরস।