বাংলা হান্ট ডেস্কঃ স্ত্রী যদি সুশিক্ষিতা, অর্থ উপার্জনকারী হন, সেক্ষেত্রে স্বামীর আয়ে তাঁর কেন প্রয়োজন পড়বে? এবার বড় প্রশ্ন তুলে দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। খোরপোষ (Alimony) সংক্রান্ত একটি মামলার শুনানিতে এই প্রশ্ন তোলেন বিচারপতি অজয় কুমার গুপ্ত। সেই সঙ্গেই নিম্ন আদালতের নির্দেশ খারিজ করে দেন তিনি।
কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) যা হল…
জানা যাচ্ছে, বেলুড় নিবাসী এক দম্পতি ২০২০ সালে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। তাঁরা ইন্দোরে থাকতেন। কয়েকদিন পর স্বামী এবং শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন স্ত্রী। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪৯৮ এবং পণপ্রথা বিরোধী আইনের ধারায় তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়। সেই সঙ্গেই স্বামী যাতে তাঁকে খোরপোষ দেন, সেই নির্দেশ চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন ওই মহিলা।
পেশায় চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট ওই স্ত্রী নিম্ন আদালতে ১ লক্ষ ৮০,০০০ টাকা ভরণপোষণ এবং অন্তর্বর্তীকালীন ভরণপোষণের জন্য ১ লক্ষ ৫০,০০০ টাকা দাবি করে মামলা দায়ের করেন। নিম্ন আদালতের তরফ থেকে অন্তর্বর্তীকালীন ৫০,০০০ টাকা ভরণপোষণ মঞ্জুর করা হয়। এরপর কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হন স্বামী।
আরও পড়ুনঃ বৈশাখীর জন্যই ভেঙেছে বিয়ে? এতদিনে সবটা ‘ফাঁস’ করলেন শোভন! জোর শোরগোল
পেশায় সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার ওই ব্যক্তি নিম্ন আদালতের নির্দেশ চ্যালেঞ্জ করে উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হন। তিনি অভিযোগ করেন, স্ত্রী নিজের আয় বিষয়ক তথ্য নিম্ন আদালতে গোপন করেছেন। সেই আবেদন সাড়া দেয় হাইকোর্ট। এবার সেই মামলাতেই বড় প্রশ্ন তুলে দিলেন বিচারপতি গুপ্ত (Justice Ajay Kumar Gupta)।
হাইকোর্ট জানায়, ‘তাঁর স্বামীর আয় কম বেশি তাঁরই সমান। তিনি স্বামীর মতোই জীবনযাপনে সক্ষম। ফলে তাঁর খোরপোষের কোনও দরকার পড়বে না’। এক্ষেত্রে স্ত্রী ভরণপোষণ পাওয়ার অধিকারী নন বলে জানিয়ে দেয় আদালত।
হাইকোর্টের (Calcutta High Court) পর্যবেক্ষণ, স্ত্রী যদি উপার্জনকারী হন, তাহলে স্বামীর কাছ থেকে খোরপোষ নেওয়ার কী দরকার! নির্দেশনামায় জাস্টিস গুপ্ত বলেন, একইদিনে তিনটি হলফনামা দাখিল করে আদালতকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেছেন স্ত্রী। শেষ অবধি এই মামলায় নিম্ন আদালতের নির্দেশ খারিজ করে দেওয়া হয়। একইসঙ্গে স্ত্রী ভরণপোষণ পাওয়ার অধিকারী নন বলে জানিয়ে দেয় হাইকোর্ট।