বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ২০১৬ সালের এসএসসির (SSC Recruitment Scam) প্যানেল বাতিল করার সঙ্গেই নতুন করে পরীক্ষা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। সেই মতো আগামী ৩০ মে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হবে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। এরপরেই কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হন চাকরিহারা ‘অযোগ্য’ শিক্ষকদের একাংশ। বিচারপতি পার্থসারথি চট্টোপাধ্যায়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তাঁরা।
কী বলল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)?
মঙ্গলবার বিকেলে নবান্নে সাংবাদিক সম্মেলন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখান থেকেই নতুন নিয়োগ সংক্রান্ত একাধিক ঘোষণা করেন তিনি। এরপরেই আদালতের হস্তক্ষেপ চেয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন চাকরিহারা ‘অযোগ্য’ শিক্ষকদের একটি অংশ। যদিও মামলা গ্রহণ করেননি বিচারপতি পার্থসারথি চট্টোপাধ্যায়।
আবেদনকারীদের বক্তব্য ছিল, সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) তাঁদের বেতন বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে। বিদ্যালয়েও যেতে পারছেন না। এমনকি নতুন যে নিয়োগ প্রক্রিয়া হবে, সেখানেও তাঁরা অংশ নিতে পারবেন না। এই অবস্থায় হাইকোর্ট হস্তক্ষেপ করুক। যদিও সেই মামলা গ্রহণ করেনি আদালত।
আরও পড়ুনঃ আগেই খুইয়েছেন চাকরি! রাজ্যে আসলেই মোদীর সঙ্গে দেখা করতে চান SSC কাণ্ডে চাকরিহারারা
এই বিষয়ে জাস্টিস চট্টোপাধ্যায়ের (Justice Partha Sarathi Chatterjee) পর্যবেক্ষণ, ‘এই বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ আছে। পাশাপাশি এই বিষয়টি এখন সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন। এই অবস্থায় কলকাতা হাইকোর্টের গ্রীষ্মাবকাশকালীন বেঞ্চ কোনও হস্তক্ষেপ করবে না’।
অন্যদিকে বুধবার সকালে আবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ির অদূরে হাজরা মোড়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন চাকরিহারা ‘অযোগ্য’ শিক্ষকদের (School Teacher) একাংশ। তাঁদের মধ্যে একজন বলেন, ‘আমরা কিন্তু নট স্পেসিফিক্যালি টেন্ডেড। আমাদের বিরুদ্ধে এখনও দুর্নীতি প্রমাণ হয়নি। তবে আমরা স্কুলেও যেতে পারছি না আর বেতনও পাচ্ছি না’।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অবশ্য ‘চিহ্নিত অযোগ্য’দের জন্য গতকাল বেশ কিছু ঘোষণা করেছেন। তিনি বলেন, ‘যারা বাতিল হয়ে গিয়েছেন… তাঁদের বলা হয়েছে, এই পরীক্ষায় বসতে পারবেন না। কিন্তু তাঁরা অন্য দফতরে যোগ দিতেই পারেন। আদালত সেটাও বলে দিয়েছে’। একইসঙ্গে তাঁর সংযোজন, ‘যাদের টাকা ফেরত দিতে বলা হয়েছে ও যাদের বাতিল করা হয়েছে, এছাড়াও অনেক শিক্ষক রয়েছেন… ওনারা শিক্ষা দফতরেও যোগ দিতে পারেন। তাছাড়া আরও তিন-চারটে দফতরের বিকল্প দেব। তবে সেটা আমরা আলাদা করে নোটিফাই করব’।
এরপরেও কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হয়েছিলেন চাকরিহারা ‘অযোগ্য’ শিক্ষকদের একাংশ। তবে তাঁদের মামলা গ্রহণ করেনি উচ্চ আদালত। এই বিষয়ে শীর্ষ আদালতের নির্দেশ রয়েছে ও বিষয়টি সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন, সেই কারণে হাইকোর্ট হস্তক্ষেপ করবে না, জানিয়েছেন বিচারপতি চট্টোপাধ্যায়।