বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ২৬,০০০ চাকরি বাতিল কাণ্ডে (SSC Recruitment Scam) এপ্রিল মাসে উত্তাল হয়ে উঠেছিল রাজ্য। দুর্নীতির জেরে ২০১৬ সালের এসএসসির সম্পূর্ণ প্যানেল বাতিল করে দেয় সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। যার জেরে একধাক্কায় চাকরি হারান ২৫,৭৫২ জন শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী। পরবর্তীতে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের আবেদন মেনে ‘অযোগ্য’ ও ‘দাগি’ হিসেবে চিহ্নিত নন, এমন শিক্ষকদের সাময়িক স্বস্তি দেয় শীর্ষ আদালত। সেই সঙ্গেই শিক্ষাকর্মীদের মাসিক ভাতা দেওয়ার কথা ঘোষণা করে রাজ্য। এই ইস্যু পুরোপুরি শান্ত হওয়ার আগেই কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) একটি মামলায় জিতে গেলেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে জুনিয়র হয়ে যাওয়া শিক্ষাকর্মীদের একটি অংশ!
বড় নির্দেশ দিয়ে দিল উচ্চ আদালত (Calcutta High Court)!
জানা যাচ্ছে, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ২০১৯ সালে ৩৯ জন কর্মচারীকে প্রোমোশন দিতে গিয়ে ২০১৫ সাল থেকে রেট্রোস্পেক্টিভ এফেক্ট দেওয়ার ফলে ২০১৬ ও ২০১৮ সালে জুনিয়র সুপার পদে উন্নীত হওয়া সিনিয়র শিক্ষাকর্মীরা নিজেদের সিনিয়রিটি হারিয়ে ফেলেন।
কর্তৃপক্ষের (Calcutta University) ভুলের কারণে ১৯৯১-১৯৯৫ সাল অবধি চাকরিতে যোগ দেওয়া শিক্ষাকর্মীদের টপকে ১৯৯৮ ও ২০০০ সালে চাকরিতে যোগ দেওয়া কর্মচারীরা ২০১৫ সাল থেকে জুনিয়র সুপার পদে উন্নীত হয়ে যান। এর ফলে আস্তে আস্তে পদোন্নতিক্রমে তাঁরা ২০২০ সালে সিনিয়র সুপার পদে আসীন হন।
আরও পড়ুনঃ অপারেশন সিঁদুরের নামে গাজার ভিডিও পোস্ট করছে BJP! বিস্ফোরক দাবি তৃণমূলের মহুয়ার, শুরু রাজনীতি?
এরপরেই জল গড়ায় কলকাতা হাইকোর্ট অবধি। উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হন বঞ্চিতরা। বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর (Justice Biswajit Basu) এজলাসে নিজেদের ভুল স্বীকার করে নেয় কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। সেই সঙ্গেই লিখিত ভাবে মেনে নেওয়া হয়, যে সকল কর্মী সিনিয়রিটি হারিয়েছেন, তাঁদের ২০১৫ সাল থেকে জুনিয়র সুপার ও ২০২০ সাল থেকে সিনিয়র সুপার পদে উন্নীত করা হবে।
এদিন কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশের ফলে দীর্ঘ ৬ বছর পর কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে জুনিয়র হয়ে যাওয়া শিক্ষাকর্মীদের একটি অংশ পুনরায় সিনিয়রিটি ফিরে পেলেন। এই বিষয়ে মামলাকারীদের তরফে শুভেন্দু মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘সরকারি কর্মী ও সরকার পোষিত সংস্থার কর্মীদের জন্য এই নির্দেশ দৃষ্টান্ত’।
উল্লেখ্য, সাম্প্রতিক অতীতে একাধিক মামলায় উল্লেখযোগ্য রায় দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। এবার যেমন উচ্চ আদালতের নির্দেশের ফলে দীর্ঘ ৬ বছর পর জুনিয়র হয়ে যাওয়া শিক্ষাকর্মীদের একটি অংশ ফের সিনিয়রিটি ফিরে পেলেন। এর ফলে মুখে হাসি ফুটেছে তাঁদের।