বাংলা হান্ট ডেস্কঃ দীর্ঘদিন ধরেই শিরোনামে রয়েছে শিক্ষক নিয়োগ (Teacher Recruitment)। ইতিমধ্যেই এই নিয়ে বহু দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। গ্রেফতার হয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী সহ অনেক হেভিওয়েট। দুর্নীতির জেরে ২০১৬ সালের এসএসসির (SSC Recruitment Scam) সম্পূর্ণ প্যানেলও বাতিল করেছে কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। বর্তমানে সুপ্রিম কোর্টে ঝুলে রয়েছে সেই ২৬,০০০ চাকরি। এই আবহে এবার অন্য একটি মামলায় চাকরিপ্রার্থীদের পক্ষে বড় রায় দিয়ে দিল উচ্চ আদালত।
কোন মামলায় চকাকরিপ্রার্থীদের পক্ষে রায় হাইকোর্টের (Calcutta High Court)?
২০২৪ সালে মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশনের সহকারী শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষায় বেশ কয়েকটি প্রশ্ন নিয়ে ‘জটিলতা’ দেখা দেয়। ওই পরীক্ষায় ২৭টি সিলেবাস বহির্ভূত প্রশ্ন ছিল বলে অভিযোগ। পরবর্তীতে এই জল গড়ায় হাইকোর্ট অবধি। পাঠ্যক্রম বহির্ভূত ওই প্রশ্নগুলির বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন ১৯ জন পরীক্ষার্থী। এবার তাতেই বড় নির্দেশ দিয়ে দিল হাইকোর্ট।
মামলাকারীদের আইনজীবী শামিম আহমেদ উচ্চ আদালতে (Calcutta High Court) অভিযোগ করেন, মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশনের ভুলের কারণে ৪৭টি শূন্যপদ থাকলেও, দ্বিতীয় ধাপের পরীক্ষার জন্য মাত্র ৮ জন পরীক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয়েছিলেন। হাইকোর্টের তরফ থেকে কমিশনের কাছে তথ্য চাওয়া হয়। এবার এই মামলাতেই আদালতের নির্দেশ, ২০২৪ সালে মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশনের সহকারী শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষায় সিলেবাসের বাইরের প্রশ্নগুলিতে নম্বর দিতে হবে।
আরও পড়ুনঃ IAS সেলিম অতীত! রাজ্যের সংখ্যালঘু বিত্ত নিগমের নয়া চেয়ারম্যান কে? জারি বিজ্ঞপ্তি
বুধবার উচ্চ আদালতে এই মামলার শুনানি ছিল। তাতে বিচারপতি সৌগত ভট্টাচার্য নির্দেশ দেন, প্রত্যেক পরীক্ষার্থীকেই ওই প্রশ্নগুলির জন্য বরাদ্দ নম্বর দিতে হবে। এর ফলে যে সকল পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় পাশ করবেন, তাঁদের পরবর্তী ধাপের জন্য সুযোগ প্রদান করবে কমিশন (Madrasah Service Commission)।
এদিন মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশনের কৌঁসুলি প্রতীক ধর হাইকোর্টে (Calcutta High Court) জানান, ২০২৪ সালের সহকারী শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষায় ২৭টি সিলেবাস বহির্ভূত প্রশ্নের মধ্যে ৮টির নম্বর পরীক্ষার্থীদের দেওয়া হয়েছে। বাদ বাকি ১৯টি প্রশ্নের নম্বরও তাঁদের দিয়ে দেওয়া হবে। বিচারপতি সৌগত ভট্টাচার্যের নির্দেশ, ওই প্রশ্নগুলির বরাদ্দ নম্বর দেওয়া এবং তার ভিত্তিতে উত্তীর্ণ হলে চাকরিপ্রার্থীদের পরবর্তী ধাপের জন্য সুযোগ দিতে হবে।