বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বাঁশদ্রোনি থেকে বাসন্তী অবধি রোজ ট্রেনে, বাসে চেপে যাতায়াত করতেন। তাই সুবিধার খাতিরে বেছে নিয়েছিলেন সালোয়ার, কামিজ। সেই জন্যই হেনস্থার মুখে পড়তে হয় এক স্কুল শিক্ষিকাকে (School Teacher)। মারধর, চুল ছিঁড়ে দেওয়া, এমনকি মাথার চুল কেটে নেওয়ার অভিযোগ ওঠে। বিগত প্রায় পাঁচ বছর ধরে ওই মামলা চলছে। এবার তাতেই বড় নির্দেশ দিয়ে দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)।
কী নির্দেশ দিয়েছে উচ্চ আদালত (Calcutta High Court)?
জানা যাচ্ছে, দক্ষিণ ২৪ পরগণার মহেশপুর প্রফুল্ল বালিকা বিদ্যালয়ের ইংরেজির শিক্ষিকা ছিলেন মধুরিমা দাস। ২০১০ সালের ডিসেম্বর মাসে সালোয়ার, কামিজ পরে বিদ্যালয়ে গিয়েছিলেন তিনি। যে কারণে তাঁকে হেনস্থার শিকার হতে হয় বলে অভিযোগ।
শিক্ষিকার (Teacher) অভিযোগ, ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা ও ম্যানেজিং কমিটির সদস্যরা পোশাক নিয়ে ফতোয়া জারি করেছিলেন। বলা হয়, স্কুলে আসতে হলে শাড়ি পরেই আসতে হবে। এদিকে তিনি রোজ ট্রেনে, বাসে চেপে যাতায়াত করতেন। ফলে তাঁর পক্ষে রোজ শাড়ি পরে আসা সম্ভব নয় বলে জানিয়ে দেন ওই শিক্ষিকা।
আরও পড়ুনঃ ‘এই মৃত্যুর ঘটনা ওনাকে তাড়া করবে’! অক্সফোর্ডে প্রশ্নের মুখে মমতা! মুখ খুললেন তিলোত্তমার মা-বাবা
এরপরেই তর্কাতর্কির মধ্যে অভিভাবকদের একটি অংশের উপস্থিতিতে বেশ কয়েকজন শিক্ষিকা তাঁকে চূড়ান্ত হেনস্থা করেন বলে অভিযোগ মধুরিমার। তাঁকে মারধর করার পাশাপাশি চুল ছিঁড়ে দেওয়া, চুল কেটে নেওয়ার অভিযোগ ওঠে। পরবর্তীতে পুলিশ তাঁকে বিদ্যালয় থেকে উদ্ধার করে।
এরপর থেকে ওই শিক্ষিকাকে আর বিদ্যালয়ে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। এমনকি বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাঁর বেতনও বন্ধ করে দেয়। এদিকে এই ঘটনার জেরে দীর্ঘদিন অসুস্থ ছিলেন ওই শিক্ষিকা। পরবর্তীতে এই ইস্যুতে শিক্ষা দফতরের দ্বারস্থ হন তিনি। কিন্তু তা সত্ত্বেও কোনও সুরাহা হয়নি।
এবার সেই মামলাতেই বড় নির্দেশ দিয়ে দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। দক্ষিণ ২৪ পরগণার স্কুল পরিদর্শককে সব দিক খতিয়ে দেখার ওই শিক্ষিকাকে পুনরায় নিয়োগের বন্দোবস্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি। একইসঙ্গে বিগত পাঁচ বছর ধরে চলা এই মামলা দ্রুত শেষ করারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।