বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আইএএস অফিসারের স্ত্রীর শ্লীলতাহানির ঘটনা ঘিরে শোরগোল। পশ্চিমবঙ্গে কর্মরত এক আইএএস আধিকারিকের স্ত্রীকে শ্লীলতাহানির ঘটনায় তিনটি গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court) বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের বেঞ্চ। তথ্য, নথি বিকৃত করার ঘটনায় কলকাতা পুলিশের ৬ অফিসারের (Police Officer) বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের।
শুক্রবার এই মামলায় বিচারপতি ভরদ্বাজের নির্দেশ, লালবাজারের মহিলা পুলিশ থানার দায়িত্বে থাকা ডেপুটি কমিশনার মামলাটির তদন্ত করবেন, বর্তমান তদন্তকারী অফিসারকে আগামী তিন দিনের মধ্যে মামলা সংক্রান্ত সমস্ত নথি তাকে হস্তান্তর করতে হবে। এর আগে অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্তকে পুলিশ গ্রেফতার করলেও আলিপুর আদালতে তিনি জামিন পেয়ে যান। নিম্ন আদালতের ওই জামিন বাতিল করে দিল হাইকোর্ট।
পাশাপাশি, তদন্তে তথ্য বিকৃতি এবং পদ্ধতিগত ত্রুটির জন্য লেক থানার এএসআই সুজাতা বর্মন, তিলজলা থানার এসআই কল্পনা রায় এবং কড়েয়া থানার এসআই অর্পিতা ভট্টাচার্য এই তিন মহিলা পুলিশ কর্মীর বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্তের জন্য কলকাতার পুলিশ কমিশনারকে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। পাশাপাশি লেক থানার ওসি, এক সার্জেন্ট সহ মোট ৬ জনের বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ।
ঠিক কি ঘটেছিল? সূত্রের খবর ওড়িশায় কর্মরত আইএএস অফিসারের স্ত্রী কলকাতায় একটি তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থার কর্মী। কর্মসূত্রে তিনি এখানেই থাকেন। তার অভিযোগ, গত ১৫ জুলাই রাতে এক পূর্ব পরিচিত ব্যক্তি তাদের বাড়িতে আসেন। বাড়িতে সেই সময় কেউ না থেকে তার সুযোগ নেন ওই ব্যক্তি।
আরও পড়ুন: ‘৭ দিনের মধ্যে জবাব দিন..,’ জনস্বার্থ মামলায় রাজ্যকে কড়া নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট
আগ্নেয়াস্ত্র মাথায় ঠেকিয়ে ওই মহিলার শ্লীলতাহানি করেন অভিযুক্ত ব্যক্তি। সেই দিনই লেক থানায় অভিযোগ দায়ের করেন ওই মহিলা। প্রথমে অভিযুক্তকে গ্রেফতারও করে পুলিশ। কিন্তু পরে আলিপুর আদালতে জামিন পেয়ে যায় অভিযুক্ত। এরপরই পুলিশের বিরুদ্ধে তদন্তে গাফিলতির অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেন ওই মহিলা। এবার সেই মামলাতেই বড় নির্দেশ আদালতের।