বাংলা হান্ট ডেস্কঃ তদন্ত শেষ করে ট্রায়াল শুরু করুন। হাওড়ার তৃণমূল নেতা তপন দত্ত খুনের মামলায় (Tapan Dutta murder case) কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে এই নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। উচ্চ আদালতের নির্দেশ, চলতি বছরের মধ্যে তদন্ত শেষ করতে হবে।
আর কী বলল হাইকোর্ট? Calcutta High Court
পরিবেশবিদ তথা হাওড়ার তৃণমূল নেতা তপন দত্ত খুনের মামলায় সিবিআইকে তদন্তের সময়সীমা জন্য ডেডলাইন বেঁধে দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। বৃহস্পতিবার এই মামলা বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাসে শুনানির জন্য উঠলে আদালত স্পষ্ট জানিয়েছে, চলতি বছরের মধ্যে তদন্ত শেষ করে ট্রায়াল শুরু করে দিতে হবে।
দুর্নীতির বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলেছিলেন তপন দত্ত। বালি জগাছার একটি জলাশয় ভরাটের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছিলেন এই তৃণমূল নেতা। ২০১১ সালে হাওড়ায় ভোটের দিন রাতে মোটর সাইকেলে চেপে বাড়ি ফিরছিলেন তিনি। সেই সময়ই পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছিল তপন দত্তকে। শুরু হয় মৃত্যুর তদন্ত। তদন্তে নামে CID.
প্রথমে অরূপ রায়ের নাম থাকলেও সাপ্লিমেন্টরি চার্জশিট থেকে তাঁর নাম বাদ যায়। পাশাপাশি পাঁচ অভিযুক্তকে বেকসুর খালাস করে দেয় হাওড়া আদালত। সিআইডি তদন্তে অসন্তুষ্ট ছিল মৃতের পরিবার। বিচার চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের হয়। এরপরই সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট।
বুধবার আদালতে সিবিআই আইনজীবী বলেন, “১১ বছর আগের মামলা। এখন অনেক তথ্য পরিবর্তিত হয়েছে। টপোগ্রাফি পরিবর্তন হয়ে গিয়েছে। মোট ৪৫ জনের সাক্ষী নেওয়া হয়েছে। সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে।” বিচারপতির প্রশ্ন, “আপনাদের কত সময় লাগবে তদন্ত শেষ করতে?” সিবিআই জানায়, অন্তত ৬ মাস সময় দেওয়া হোক। এরপরই চলতি বছরের মধ্যে তদন্ত শেষ করে ট্রায়াল শুর করার নির্দেশ দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: Breaking: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বিপাকে ‘এই’ BJP নেতা! সমন পাঠানোর নির্দেশ দিল আদালত, তোলপাড়
আদালতে পরিবারের তরফে আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য জানিয়েছিলেন, পরিবেশবিদ তপন দত্ত জলাভূমি বাঁচাও আন্দোলন করতে গিয়ে মারা যান। দু’বার আলাদা আলাদা কিছু নাম চার্জশিটে উঠে আসে। প্রত্যেকেই তৃণমূলের সঙ্গে যুক্ত। কিন্তু সেখান থেকে কিছু নাম বাদ দেওয়া হয়। তদন্তের নামে প্রমাণপত্র নষ্ট করা হয়েছে। প্রকৃত দোষীরা শাস্তি পায়নি।