বাংলা হান্ট ডেস্কঃ মোটা টাকা রোজগার করার জন্য দিনের পর দিন বিপুল পরিমাণ ক্ষতি করা হচ্ছে প্রকৃতির। শুধুমাত্র কোটি কোটি টাকা রোজগারের জন্য আলিপুরদুয়ার জেলার দুটি নদী থেকে বেআইনিভাবে মাটি খনন করার অভিযোগ উঠল আদালতে। বছর পাঁচেক আগে প্রশাসনকে এই অভিযোগ জানিয়ে কোন লাভ হয়নি বলে দাবি। তবে এবার এই অভিযোগটিকে অত্যন্ত গুরুতর বলে উপলব্ধি করে পদক্ষেপ নিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। জানা যাচ্ছে আদালতে মূলত দুটি অভিযোগ জানিয়ে মামলা করা হয়েছে।
বেআইনি খননকার্যের মামলায় বিরাট নির্দেশ হাইকোর্টের (Calcutta High Court)
প্রথমত রায়ডাক নদী থেকে টেন্ডার ডেকে প্রশাসনের তরফে পলি তোলার সাথে সাথেই যথেচ্ছ পরিমাণে বালিসহ অন্যান্য খনিজ পদার্থসহ বিভিন্ন সামগ্রী তুলে নেওয়া হচ্ছে। কোন নিয়ম না মেনে দিনের পর দিন নদীবক্ষে এইভাবে খননকার্য চালানো হচ্ছে। এছাড়াও অভিযোগ কোনরকম টেন্ডার ছাড়াই সঙ্কোশ নদীতেও সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে বছরের পর বছর ধরে ইচ্ছামত খননকার্য চালানো হচ্ছে।
কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) বৃহস্পতিবার এই মামলার শুনানি ছিল। শুনানি চলাকালীন প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম ও বিচারপতি চৈতালি চট্টোপাধ্যায় দাসের ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছে সংকোশ নদীর যে অংশে বেআইনিভাবে খনন করার অভিযোগ উঠেছে রাজ্যের রিভার রিসার্চ ইনস্টিটিউটের বিশেষজ্ঞদের নিয়ে সেই জায়গা আচমকা পরিদর্শন করবেন আলিপুরদুয়ারের জেলাশাসক।
বিস্তারিত পড়ুন : সরকারি স্কুলগুলিতে তৈরী হচ্ছে প্রজাপতি পার্ক! বড় সিদ্ধান্ত পশ্চিমবঙ্গ সরকারের
পাশাপাশি রায়ডাক নদী থেকেও নিয়ম বহির্ভূতভাবে খনন কার্যের যে অভিযোগ তোলা হয়েছে,রাজ্য মিনারেল ডেভেলপমেন্ট ও ট্রেডিং কর্পোরেশন লিমিডেটকে তার জবাব দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জানা যাচ্ছে, একইসাথে আগামী দিনে উভয়পক্ষকে নিজেদের সমস্ত বক্তব্য রিপোর্ট আকারে হাইকোর্টে (Calcutta High Court) পেশ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
রায়ডাক নদীর ক্ষেত্রে ঠিকাদার সংস্থার দাবি ২০২১ সালের রিভার রিচার্জ ইনস্টিটিউট সমীক্ষা করে জানিয়েছে রায়ডাক থেকে পলি তুলে খনন করার প্রয়োজন। সেই রিপোর্ট বেরোনোর পরেই টেন্ডার ডাকা হয় এবং কাজ পায় ওই ঠিকাদার সংস্থা। একইসাথে তাদের দাবি যাবতীয় বিধি মেনেই ওই খনন কার্য করা হয়েছে।