বাংলা হান্ট ডেস্কঃ রাজ্যের নানান প্রান্ত থেকে মাঝেমধ্যেই প্রোমোটার রাজের অভিযোগ উঠতে দেখা যায়। এবার যেমন এক প্রোমোটারের বিরুদ্ধে চার তলার অনুমতি নিয়ে পাঁচ তলা বিল্ডিং তৈরির অভিযোগ উঠেছে। ইতিমধ্যেই এই জল গড়িয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court) অবধি। এবার তাতেই পুরসভাকে বড় নির্দেশ দিয়ে দিল আদালত।
পুরসভাকে কী নির্দেশ দিল উচ্চ আদালত (Calcutta High Court)?
চার তলার অনুমতি নিয়ে পাঁচ তলা বিল্ডিং হাঁকানোর এই ঘটনা ঘটেছে বাঁকুড়া সোনামুখী পুরসভার (Sonamukhi Municipality) ১৫ নং ওয়ার্ডে। জানা যাচ্ছে, সোনামুখী কলেজ সংলগ্ন এলাকায় অলোক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং গৌতম চক্রবর্তীর নামে ৩২ কাঠা জমি ছিল। একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ওই জমির ওপর ফ্ল্যাট নির্মাণের জন্য জগদ্ধাত্রী কনস্ট্রাকশন নামের একটি সংস্থার সঙ্গে জমির মালিকদের চুক্তি হয়। সেখানে পাঁচ তলা একটি বিল্ডিংও বানানো হয়। তবে নির্মাণ কাজ চলার মাঝেই দেখা দেয় জটিলতা।
সংশ্লিষ্ট নির্মাণ সংস্থার বিরুদ্ধে পুরসভা থেকে চার তলা বিল্ডিংয়ের অনুমতি নিয়ে পাঁচ তলা বিল্ডিং বানানোর অভিযোগ আনা হয়। সেই সঙ্গেই আর্থিক বঞ্চনার অভিযোগও করে মালিক পক্ষ। তাঁরা প্রথমে সোনামুখী পুরসভা এবং পরবর্তীতে কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হন। এবার এই মামলাতেই অবিলম্বে অভিযোগ খতিয়ে দেখে দু’মাসের মধ্যে পুরসভাকে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
আরও পড়ুনঃ বগটুই-কাণ্ডের পর উগড়ে ছিলেন ক্ষোভ! এবার কেষ্টকে সামনে পেয়েই মিহিলাল যা করলেন … শোরগোল!
প্রোমোটারের বিরুদ্ধে অবৈধ নির্মাণ (Illegal Construction) এবং আর্থিক প্রতারণার অভিযোগ তুলে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন সোনামুখী কলেজ সংলগ্ন ওই জমির দুই মালিক। এবার তাতেই পুরসভাকে সবদিক খতিয়ে দেখার পর পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এদিকে ইতিমধ্যেই এই নিয়ে জেলার রাজনৈতিক মহলে চাপানউতোর শুরু হয়েছে। পুরসভার নাকের ডগায় অনুমতি ছাড়া কীভাবে ওই নির্মাণ হয়ে গেল ইতিমধ্যেই এই প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
মালিক পক্ষের দাবি, সংশ্লিষ্ট নির্মাণ সংস্থা বেশ প্রভাবশালী। সেই কারণে চার তলা বিল্ডিংয়ের অনুমতিতে পাঁচ তলা বিল্ডিং হাঁকিয়ে বসেছে। অন্যদিকে নির্মাণ সংস্থার মালিক দাবি করেন, বিল্ডিং বানানোর আগেই সাত তলা তৈরির অনুমতি চেয়ে তিনি পুরসভার কাছে আবেদন করেছিলেন। তবে সেই সময় পুরসভার তরফ থেকে সর্বাধিক চার তলার অনুমতি প্রদানের ক্ষমতা ছিল। তবে বিল্ডিং প্ল্যান সহ অন্যান্য নথিপত্র খতিয়ে দেখার পর বলা হয়েছিল, সাত তলা অবধি নির্মাণের অনুমতি প্রদান করা হতে পারে। সেই নথির ওপর ভিত্তি করেই পাঁচ তলা বিল্ডিং বানানো হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি। একইসঙ্গে আর্থিক বঞ্চনার অভিযোগও উড়িয়ে দিয়েছেন।
এদিকে হাইকোর্টের (Calcutta High Court) তরফ থেকে দু’মাসের মধ্যে সব খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ আসতেই নড়েচড়ে বসেছে সোনামুখী পুরসভা। তাদের কথায়, এই বিষয়টি আদালত অবধি গড়ানোয় এতদিন অবধি তারা হস্তক্ষেপ করেননি। তবে এবার আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। বিজেপি অবশ্য ইতিমধ্যেই এই বেআইনি নির্মাণের অভিযোগ নিয়ে পুরসভাকে একহাত নিয়েছে।