বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সুপ্রিম কোর্টের এক রায়ে চাকরিহারা ২৫,৭৫২ জন শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী (SSC Recruitment Scam)। গত এপ্রিল মাসে এই রায় এসেছিল। এরপর প্রায় দেড় মাস কেটে গেলেও চাকরিহারাদের আন্দোলন থামেনি। গত বৃহস্পতিবার বিকাশ ভবন (Bikash Bhawan) ঘেরাও অভিযান ঘিরে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয়। পুলিশের বিরুদ্ধে দেদার লাঠিচার্জ সহ একাধিক অভিযোগ উঠেছে। পাল্টা আন্দোলনকারী বেশ কয়েকজন শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিধাননগর উত্তর থানায় মামলা রুজু করা হয়। শিক্ষকদের বিরুদ্ধে পুলিশের অতিসক্রিয়তার অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হয়েছিলেন আন্দোলনকারী চাকরিহারাদের শিক্ষকদের একাংশ। এবার দুই শিক্ষক নেতাকে থানায় হাজিরার নির্দেশ দিয়ে দিল আদালত।
কোন দুই শিক্ষক নেতাকে থানায় হাজিরার নির্দেশ হাইকোর্টের (Calcutta High Court)?
আন্দোলনকারী শিক্ষকদের একাংশের অভিযোগ, বিকাশ ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচিতে কয়েকজন তৃণমূল সমর্থক তাঁদের মারধর করেন। তাঁদের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ না নিয়ে উল্টে শিক্ষকদের বিরুদ্ধে পুলিশ অতিসক্রিয় হয়ে উঠছে বলে অভিযোগ করা হয়।
প্রতিবাদী দুই শিক্ষক (School Teacher) নেতা ইন্দ্রজিৎ মণ্ডল ও সুদীপ কোনারকে মিথ্যে মামলায় ফাঁসানো হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন আন্দোলনকারী শিক্ষকদের একটি অংশ। পুলিশ তাঁদের অভিযুক্ত হিসেবে নোটিশও পাঠিয়েছে। এবার এই দুই শিক্ষক নেতাকে থানায় হাজিরার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। আগামীকাল ইন্দ্রজিৎ ও সুদীপকে থানায় যেতে হবে বলে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ। সেই সঙ্গেই বলা হয়েছে, পুলিশ তাঁদের বিরুদ্ধে কোনও কঠোর পদক্ষেপ নিতে পারবে না। এর পাশাপাশি বিকাশ ভবনের সামনে চাকরিহারাদের জমায়েতে লোকসংখ্যাও কমাতে বলেছে উচ্চ আদালত।
আরও পড়ুনঃ বিয়ের পর একাধিক ঝড়ঝাপটা! রিঙ্কুকে নিয়ে এবার ঘুরতে গেলেন দিলীপ, কোথায় গিয়েছেন নবদম্পতি?
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার বিকাশ ভবনের সামনে ধুন্ধুমার পরিস্থিতির পর বিধাননগর উত্তর থানায় ১৭ জন শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়। তাঁদের তলব করে থানায় হাজির হতে বলা হয়। সরকারি কর্মচারীদের কাজে বাধা দেওয়া, সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুর সহ প্রতিবাদী চাকরিহারাদের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ এনেছিল পুলিশ। নোটিশ পাঠিয়ে জানানো হয়, এই সকল অভিযোগ নিয়ে প্রতিবাদকারীদের জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজন রয়েছে। এবার দুই প্রতিবাদী শিক্ষক নেতাকে আগামীকাল থানায় হাজিরার নির্দেশ দিল হাইকোর্ট (Calcutta High Court)।
অন্যদিকে আবার আন্দোলনরত চাকরিহারা শিক্ষকদের একাংশকে শোকজ করেছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। এক সপ্তাহের মধ্যে লিখিত জবাব তলব করা হয়েছে। একদিকে দুই শিক্ষক নেতাকে থানায় হাজিরার নির্দেশ, অন্যদিকে পর্ষদের শোকজ, এর ফলে প্রতিবাদী চাকরিহারাদের চাপ কি বাড়ল?