বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ‘আদালত সব ক্ষেত্রে নির্দেশ দিতে পারে না। রাজ্য সরকার অন্যান্য বিলের মতো সিদ্ধান্ত নিতে পারে’। বুধবার এক মামলার শুনানিতে এমনই মন্তব্য করল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। বিগত কয়েক মাসে পশ্চিমবঙ্গের একাধিক বেসরকারি বিদ্যালয়ের (Private School) অস্বাভাবিক হারে ফি বাড়ানো নিয়ে একাধিক অভিযোগ আসে। এর ভিত্তিতে এদিন নিজের পর্যবেক্ষণ জানান বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু (Justice Biswajit Basu)।
কী বলল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)?
জাস্টিস বসু এদিন বলেন, এই রাজ্যে বহু বেসরকারি বিদ্যালয়ের ফি বৃদ্ধি নিয়ে প্রচুর আবেদন জমা পড়েছে। বহু ক্ষেত্রে ‘চার্জ’ নামে যে ফি বাড়ানো হচ্ছে, সেটা ন্যায্য নয়। এর ওপর কি নিয়ন্ত্রণ থাকবে না? রাজস্থান মডেল কেন অনুসরণ করা হচ্ছে না, এদিন প্রশ্ন করে উচ্চ আদালত। পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে রাজ্যকে প্রশ্ন করেন বিচারপতি।
জানা যাচ্ছে, এদিন হাইকোর্টের (Calcutta High Court) তরফ থেকে এজিকে ডেকে পাঠানো হয়। তাঁর উদ্দেশে জাস্টিস বসু বলেন, ‘এই রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে রাজ্যের কিছু করা দরকার’। তাঁর পর্যবেক্ষণ, ‘রাজস্থান মডেল কেন মানা হচ্ছে না? সেখানকার সম্পূর্ণ মেকানিজম দেখা উচিত’।
আরও পড়ুনঃ ‘মানুষ মরে গেলে আপনাদের ঘুম ভাঙবে?’ বিরাট ক্ষুব্ধ বিচারপতি! কড়া নির্দেশ দিয়ে দিল হাইকোর্ট
এখানেই না থেমে বিচারপতি আরও বলেন, ‘আদালত সব ক্ষেত্রে নির্দেশ দিতে পারে না। রাজ্য সরকার অন্যান্য বিলের মতো সিদ্ধান্ত নিতে পারে’। আদালতের প্রশ্ন, ‘রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী কেন এটা নিয়ে ভাবছেন না? বিলের মধ্যে দিয়ে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে রাজ্য!’
রাজ্য়কে (Government of West Bengal) উদ্দেশ্য করে জাস্টিস বসু আরও বলেন, ‘অভিযোগ না আসলেও এনসিটিই গাইডলাইন অনুসারে শিক্ষকদের শিক্ষা কেন দেখা হবে না?’ ‘রাজ্যের থেকে এটাই শুনতে পাই, আমরা টাকা দিইনি, সেই কারণে তাদের ওপর নিয়ন্ত্রণ নেই। তবে রাজ্য চোখ বন্ধ করে থাকতে পারে না’, স্পষ্ট বলেন বিচারপতি।
এজি তখন হাইকোর্টে (Calcutta High Court) জানান, মন্ত্রীর সঙ্গে এই বিষয়ে কথা বলে আগামী শুক্রবার রাজ্যের অবস্থান জানানো হবে। জানা যাচ্ছে, বিচারপতি এই মামলায় আরও বলেন, ‘বহু বিদ্যালয়ে তো ঘোড়া কিংবা উটের দৌড় শেখানো হলেও একটা বেসিক ফি রাখা উচিত। অনেক বিদ্যালয়ে এটা বাড়তি আয়ের জায়গা’।