চরম অসহযোগীতার অভিযোগ! স্বরাষ্ট্রসচিব নন্দিনীকে হাইকোর্টে তলব করলেন ক্ষুব্ধ বিচারপতি

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বছর কয়েক আগে চিট ফান্ড কেলেঙ্কারিতে প্রতারিত হয়েছিলেন রাজ্যের কয়েক হাজার সাধারণ মানুষ। টাকা-পয়সা সর্বস্ব খুইয়ে কার্যত দেউলিয়া হয়ে গিয়েছিলেন তাঁরা। সেই সমস্ত প্রতারিত মানুষদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার জন্যই একটি বিশেষ কমিটি গঠন করে দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতিকে মাথায় রেখে তৈরি করা হয়েছিল ওই কমিটি। এবার ওই কমিটিকে কেন্দ্র করেই এক গুরুতর অভিযোগ উঠলো রাজ্যের বিরুদ্ধে।

স্বরাষ্ট্রসচিব নন্দিনীকে হাইকোর্টে (Calcutta High Court)

অভিযোগ কমিটিকে কোনরকম সাহায্য করছে না রাজ্য। কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) এই অভিযোগ করতেই  রাজ্যের ভূমিকায় বেজায় ক্ষুব্ধ হয়েছে আদালত। অভিযোগে আরও বলা হয়েছে, দিনের পর দিন রাজ্যের কাছে ওই কমিটি চালানোর পরিকাঠামো, শূন্য পদ পূরণসহ বিভিন্ন আবেদন করা হলেও তা কার্যকর করেনি রাজ্য। আর এতেই প্রশ্ন উঠছে রাজ্যের ভূমিকা নিয়ে। কমিটির সাথে তারা কেন অসহযোগিতা করছে এবার তার কারণ জানতে চাইল উচ্চ আদালত।

বৃহস্পতিবার বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর ডিভিশন বেঞ্চে ওই মামলার শুনানি চলাকালীন বিচারপতি নির্দেশ দিয়েছেন আগামী বৃহস্পতিবার রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিব নন্দিনী চক্রবর্তীকে আদালতে (Calcutta High Court) উপস্থিত থাকতে হবে। আদালতে তিনি সরকারের অসহযোগিতার কারণ ব্যাখ্যা করবেন।

আরও পড়ুন: ‘জেলে পাঠাব আপনাদের…’, এতদিনেও চাকরি না দেওয়ায় এমডি-কে ধমক দিলেন হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি

হাইকোর্টের বক্তব্য কমিটির শূন্য পদ পূরণ হচ্ছে না। এমন কি যে সমস্ত কর্মী বা অফিসার সেখানে কর্মরত ছিলেন তাদের অনেকেরই কাজের মেয়াদ শেষ হয়ে গেলেও মেয়াদ বাড়ানোর ক্ষেত্রে কোন পদক্ষেপ করছে না রাজ্য। এছাড়াও রাজ্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে কমিটির নতুন চেয়ারম্যানকে রেমুনারেশন বা টাকা দেওয়ার বিষয়ে সরকার কোন অনুমোদন দেয়নি। এমনকি এখনও বকেয়া রয়েছে আগের চেয়ারম্যানের মোটা টাকাও।

Calcutta High Court

আদালতের প্রশ্ন ছিল যেখানে রাজ্যের আশ্বাস পেয়ে এই কমিটি গঠন করেছিল হাইকোর্ট, সেখানে পরিকাঠামো সহ সব সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার দায়িত্ব রাজ্যের। কিন্তু বাস্তব চিত্রটা কেন আলাদা? কেন বাস্তবে তা করা হচ্ছে না? এবার সেই ব্যাপারে কৈফিয়ত চাইছে আদালত।

Anita Dutta
Anita Dutta

অনিতা দত্ত, বাংলা হান্টের কনটেন্ট রাইটার। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৪ বছরের বেশি সময় ধরে সাংবাদিকতা পেশার সাথে যুক্ত।

সম্পর্কিত খবর