বাংলা হান্ট ডেস্কঃ এদেশের প্রাচীনতম হাইকোর্ট হল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। ১৮৬২ সালে স্থাপিত এই উচ্চ আদালত এদেশের অন্যতম চার্টার্ড হাইকোর্টও। এবার সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) সমালোচনার জেরে এই উচ্চ আদালতেরই একটি আইনে বদল আনা হল। জামিন সংক্রান্ত মামলার (Bail Case) শুনানি নিয়ে নেওয়া হল বড় সিদ্ধান্ত।
জামিন মামলা নিয়ে কী সিদ্ধান্ত নিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)?
জানা যাচ্ছে, এতদিন অবধি কলকাতা হাইকোর্টের বিচার প্রক্রিয়া সম্বন্ধিত রুল ৯(২) অনুযায়ী রাজ্যের উচ্চ আদালতের নানান ডিভিশন বেঞ্চে জামিন সংক্রান্ত মামলাগুলির শুনানি হতো। এক্ষেত্রে বলে রাখি, জামিন সংক্রান্ত মামলা বলতে আগাম জামিন, অন্তর্বর্তী জামিন, জামিন বাতিলের পাল্টা মামলা সহ সব ধরণের মামলা বোঝানো হয়েছে।
সংশোধিত কলকাতা হাইকোর্টের এপিলেট সাইড রুল অনুসারে, এবার থেকে সিঙ্গেল বেঞ্চ অধিকাংশ জামিনের আবেদন শুনবে বলে সুপ্রিম কোর্টকে জানানো হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সিঙ্গেল বেঞ্চেই এই ধরণের মামলার শুনানি হবে।সংশোধিত আইন বলছে, আগাম জামিন (Bail), অন্তর্বর্তী জামিন, জামিন বাতিলের পাল্টা মামলা ইত্যাদি বিষয়গুলি এবার থেকে উচ্চ আদালতের সিঙ্গেল বেঞ্চ শুনবে।
আরও পড়ুনঃ হাতে আঁচড়ের দাগ! ‘আমায় রক্তাক্ত করেছে পুলিশ…’! বিরাট হুঙ্কার শুভেন্দু অধিকারীর
তবে কয়েকটি নির্দিষ্ট ধরণের জামিন মামলার শুনানি এখনও ডিভিশন বেঞ্চেই হবে। মৃত্যুদণ্ড, ৭ বছরের অধিক সময়ের জন্য সশ্রম কারাদণ্ড কিংবা অভিযোগ থেকে মুক্তির আর্জি, বিশেষ করে যেখানে মৃত্যুদণ্ড কিংবা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড কিংবা সাত বছরের অধিক জেল হতে পারে, সেই ধরণের মামলাগুলি উচ্চ আদালতের ডিভিশন বেঞ্চই শুনবে।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) ডিভিশন বেঞ্চে জামিন মামলার পাহাড় জমে থাকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল সুপ্রিম কোর্ট। ভারতের প্রায় সকল হাইকোর্টে জামিনের আবেদনের শুনানি একক বিচারপতি করেন, সেখানে কলকাতা হাইকোর্টে কেন দু’জন বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে এই ধরণের মামলার শুনানি হচ্ছে? প্রশ্ন করেন শীর্ষ আদালতের বিচারপতি অভয় এস ওকা ও বিচারপতি উজ্জ্বল ভুঁইয়া। এরপরেই এই আইনে বদল আনা হল।