বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সুপ্রিম কোর্টে ঝুলছে এসএসসি ২০১৬ সালের মামলা। হাইকোর্টে চলছে নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Scam) সংক্রান্ত গুচ্ছ গুচ্ছ মামলা। যার জেরে আটকে রয়েছে বহু নিয়োগ। তবে এরই মাঝে কপাল খুলল ১৪ হাজার চাকরিপ্রার্থীর। নিয়োগ দুর্নীতির আবহেই রাজ্যে খুশির হাওয়া। ৮ বছরের আইনি জট কাটিয়ে বুধবার অবশেষে উচ্চ প্রাথমিকে ১৪,০৫২ জনকে নিয়োগের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)।
হাইকোর্টের রায়ে কাদের খুলল কপাল? (Calcutta High Court)
হাইকোর্টে আইনি জটে আট বছর ধরে উচ্চ প্রাথমিকের নিয়োগপ্রক্রিয়া আটকে ছিল। ২০১৬ সালে উচ্চ প্রাথমিকের ১৪ হাজার ৩৩৯টি শূন্যপদে নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে রাজ্য সরকার। SSC বলেছিল প্রাইমারি টেট উত্তীর্ণদের পরীক্ষায় বসার যোগ্য। সেই নিয়েই শুরু হয় টানাপোড়েন। এরপর হাইকোর্টে মামলা গেলে বিচারপতি মৌসুমী ভট্টাচার্য গোটা মেধাতালিকা বাতিল করে নতুন মেধাতালিকা তৈরির জন্য স্কুল সার্ভিস কমিশনকে নির্দেশ দেন।
সেই মতো ২০২১ সালে কমিশন জানায়, ওএমআর শিটগ পুনরায় মূল্যায়ন করে ১ হাজার ৪৬৩ জনকে ওই মেধাতালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। এই নির্দেশের বিরোধিতা করেই এই বাদ পড়া প্রার্থীরা ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হন। একাধিক মামলায় যুক্ত হন তারা। বুধবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তীর ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলা উঠলে বাদ পড়া ১,৪৬৩ জনকে মেধাতালিকায় সংযুক্ত করতে হবে বলে নির্দেশ দেন।
আরও পড়ুন: সেপ্টেম্বরে এত্ত দিন ছুটি! কবে কবে বন্ধ থাকবে স্কুল-কলেজ, অফিস-কাছারি? দেখুন তালিকা
SSC- কে কড়া ডেডলাইন
নতুন মেধাতালিকা তৈরি করতে হবে ৪ সপ্তাহের মধ্যে। তার পর মোট ১৪,০৫২ জনের কাউন্সেলিং করতে হবে ৪ সপ্তাহের মধ্যে। বলে রাখি, এদের অনেকেরই কাউন্সেলিং হয়ে গিয়েছে। কাউন্সেলিংয়ের পর যোগ্য প্রার্থীদের দ্রুত সুপারিশপত্র দিতে হবে। আদালত জানিয়েছে, এব্যাপারে SSC যেন কোনও ঢিলেমি না করে।
আদালত জানিয়েছে, ওই ১ হাজার ৪৬৩ প্রার্থীকে যে প্রক্রিয়ায় বাদ দেওয়া হয়েছিল তা সঠিক ছিল না। হাইকোর্টের স্পষ্ট নির্দেশ, বাদ পড়া ১,৪৬৩ জনকে মেধাতালিকার অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। ৪ সপ্তাহের মধ্যে এই সম্পূর্ণ মেরিট লিস্ট প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি। চার সপ্তাহের মধ্যে ১৪,০৫২ জনের কাউন্সেলিং করতে হবে বলে নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
উল্লেখ্য, ইতিমধ্যেই এদের মধ্যে অনেকের কাউন্সেলিং প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়ে গিয়েছে। কাউন্সেলিংয়ের পর যোগ্য প্রার্থীদের দ্রুত সুপারিশপত্র দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। আদালতের বেঁধে দেওয়া ডেডলাইন মেনে সব হলে পুজোর আগেই ভাগ্য খুলতে চলেছে এই সকল চাকরিপ্রার্থীর।