বাংলা হান্ট ডেস্কঃ একদিকে দুর্গাপুজো অন্যদিকে ডাক্তারদের অনশন (Junior Doctors Protest)। ধর্মতলায় (Dharmatala) রাস্তার অধিকাংশ জুড়ে অনশনে বসেছেন ডাক্তারেরা। যার ফলে সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। তারা যাত্রা রাস্তা ছেড়ে দিয়ে বা রাস্তার পাশে বসে এই আর্জি নিয়ে কলকাতা হাই কোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হয়েছিলেন এক আইনজীবী। তবে সেই বিষয়ে হস্তক্ষেপই করল না উচ্চ ন্যায়ালয়।
কি জানাল হাইকোর্ট? (Calcutta High Court)
সোমবার কলকাতাহাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের বেঞ্চে এই মামলা উঠলে বিচারপতি জানান, যেহেতু এই সংক্রান্ত সমস্ত মামলা বর্তমানে সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন রয়েছে। তাই এই বিষয়ে এখনই কোনও হস্তক্ষেপ করবে না কলকাতা হাইকোর্ট। অর্থাৎ ধর্মতলায় যেভাবে জুনিয়র ডাক্তাররা আন্দোলন অনশন করছেন, সেভাবেই চালিয়ে যেতে পারবেন।
প্রসঙ্গত, আর জি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসক ধর্ষণ-খুনের ঘটনার প্রতিবাদে পথে নেমেছেন ডাক্তাররা। হাসপাতালে নিজেদের নিরাপত্তা সংক্রান্ত ১০ দফা দাবি রয়েছে তাদের। এর আগে সরকারকে এই নিয়ে ডেডলাইনও দিয়ে দিয়েছিলেন তারা। তবে নির্দিষ্ট সময় অতিক্রান্ত হয়ে যাওয়ার পরও সরকার সেসব পূরণ না করায় শুরু হয় অনশন। যতদিন রাজ্য সরকার তাদের দাবি মানছে না ততদিন আন্দোলন চলবে বলে জানিয়েছেন তারা।
শনিবার থেকে অনশনে বসেছিলেন ছয় জুনিয়র ডাক্তার। এসএসকেএমের অর্ণব মুখোপাধ্যায়, কেপিসি মেডিক্যাল কলেজের সায়ন্তনী ঘোষ হাজরা, এনআরএস মেডিক্যাল কলেজের পুলস্ত্য আচার্য এবং কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের অনুষ্টুপ মুখোপাধ্যায়, স্নিগ্ধা হাজরা, তনয়া পাঁজা। তবে এর মধ্যে আর জি করের একজন চিকিৎসকও না থাকায় প্রশ্ন উঠতে শুরু করে।
আরও পড়ুন: একটু পরই বদলে যাবে আবহাওয়া! দক্ষিণবঙ্গের ৪ জেলায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ঝেঁপে বৃষ্টির সতর্কতা জারি
রবিবার রাতে অনশনে বসেন আরজি করের জুনিয়র ডাক্তার অনিকেত মাহাতো। বর্তমানে সাত জন ডাক্তার আমরণ অনশনে রয়েছেন। এদিকে জুনিয়রদের পাশে দাঁড়িয়েছেন সিনিয়র ডাক্তাররাও। জুনিয়র ডাক্তারদের সমর্থনে সোমবার সকাল থেকে কয়েকজন সিনিয়র ডাক্তাররাও অনশনে যোগ দিয়েছেন। তারা ২৪ ঘণ্টা অনশন করবেন বলে জানিয়েছেন।