বাংলা হান্ট ডেস্কঃ SSC নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে চলছে মামলা। সুতোর উপর ঝুলছে প্রায় ২৬০০০ জনের চাকরি। এরই মাঝে প্রশ্নের মুখে পর্ষদ। রাজ্যের স্কুল-শিক্ষকদের (School Teachers) প্রাইভেট টিউশন (Private tuition) নিয়ে বহুদিন ধরেই সমস্যা সামনে এসেছে। বারেবারে তোলা হয়েছে অভিযোগ। আদালতের কড়া নির্দেশের পরও হয়নি সুরাহা। এবার এই ইস্যুতেই কড়া হাতে ব্যবস্থা নিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)।
রাজ্যের স্কুল-শিক্ষকদের প্রাইভেট টিউশন নিয়ে আপত্তির ভিত্তিতে তা নিয়ন্ত্রণে হাইকোর্টের নির্দেশ জারি ছিল। স্কুল শিক্ষকরা যে প্রাইভেট টিউশন করাতে পারবেন না আগেই এই নির্দেশ ছিল কলকাতা হাইকোর্টের। তবে অভিযোগ উচ্চ আদালতের নির্দেশের অবস্থা সেই রকমই রয়েছে। এবার নিয়েই রাজ্য মধ্যশিক্ষা পর্ষদ ও জেলা স্কুল পরিদর্শককে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য ডেডলাইন বেঁধে দিল হাইকোর্ট।
আদালতের নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও টিউশন করিয়ে যাচ্ছেন সরকারি স্কুলের শিক্ষকরা। সম্প্রতি এ নিয়ে কলকাতায় হাইকোর্টে একটি আদালত অবমাননার মামলা দায়ের করে গৃহ শিক্ষকদের সংগঠন গৃহ শিক্ষক কল্যাণ সমিতি। সেই মামলার ভিত্তিতে কলকাতা হাইকোর্ট আগামী ৮ সপ্তাহের মধ্যে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ এবং জেলা স্কুল পরিদর্শককে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য কড়া নির্দেশ দিয়েছে।
এদিন মামলাকারীদের আইনজীবী আদালতে জানায়, ২০২৩-এর ১ মে মামলার শুনানির পরে হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল, ওই শিক্ষকদের টিউশন বন্ধের জন্য মধ্যশিক্ষা পর্ষদকে তিন মাসের মধ্যে পদক্ষেপ নিতে হবে। এরপর স্কুলের শিক্ষকরা প্রাইভেট টিউশন করছেন না বলে পর্ষদ বিভিন্ন স্কুলের প্রধান শিক্ষকদের কাছ থেকে মুচলেকা চায়। তবে গৃহ শিক্ষকদের সংগঠনের অভিযোগ, শিক্ষকরা মুচলেকা দেওয়ার পরেও টিউশন করছেন। এই নিয়ে গত ডিসেম্বর মাসে আদালত অবমাননা মামলা করেন সমিতি।
এদিন হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম ও বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলা উঠলে আদালত জানায়, ‘যে কয়েকটি জেলার স্কুল পরিদশর্করা রিপোর্ট দিয়েছেন, তাতে কোথাও প্রাইভেট টিউশন করেন, এমন কোনও স্কুল শিক্ষকের ব্যাপারে কোনও তথ্য নেই।’ মধ্যশিক্ষা পষর্দও মেনে নেয় গত এক বছরে নয়টি জেলার স্কুল পরিদর্শক এই ব্যাপারে কাজ করলেও তারা সরকারি শিক্ষকদের প্রাইভেট টিউশন সম্পর্কে কোনও তথ্য পাননি।
আরও পড়ুন: দক্ষিণবঙ্গে ভ্যাপসা গরমে বাড়ছে অস্বস্তি! এরই মাঝে বর্ষার আগমন নিয়ে সুখবর দিল IMD
সব পক্ষের বক্তব্য শুনে কমিশনার অফ স্কুল এডুকেশনকে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ এবং জেলা স্কুল পরিদর্শকদের নিয়ে এই সমস্যা সমাধানে রূপরেখা তৈরির নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। সেই পরিকল্পনা তৈরি করে আগামী আট সপ্তাহের মধ্যে বিষয়টি বাস্তবায়িত করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ।