‘৬ সপ্তাহের মধ্যে চাকরি দিতে হবে..,’ SSC-র মাঝেই বিরাট নির্দেশ হাইকোর্টের, কাদের খুলল কপাল?

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ মেধাতালিকায় নাম থাকা সত্ত্বেও মেলেনি ন্যায্য চাকরি! এবার ৮ চাকরিপ্রার্থীর করা মামলায় বড় নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court)। ৬ সপ্তাহের মধ্যে সমস্ত কিছু খতিয়ে দেখে চাকরি দেওয়ার নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাই চট্টোপাধ্যায়ের।

পর্ষদকে কড়া নির্দেশ হাইকোর্টের (Calcutta High Court)

প্রসঙ্গত, গত দু’বছর ধরে নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Scam) ইস্যুতে কঙ্কালসার দশা রাজ্যের। যত দিন যাচ্ছে শিক্ষাক্ষেত্রে আরও নিত্যনতুন কেলেঙ্কারির অভিযোগ সামনে আসছে। সেরকমই এবার ফের এক দুর্নীতির অভিযোগ প্রকাশ্যে। সেই নিয়েই এবার কড়া নির্দেশ উচ্চ আদালতের।

২০২০ সালে এসএলএসটির নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছিল মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। ৪৬৫ টি শূন্য পদের জন্য বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছিল। নিয়োগের জন্য ২০২১ সালের জানুয়ারি এবং ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ধাপে ধাপে পরীক্ষাও নেওয়া হয়েছিল। যার মধ্যে নবম এবং দশম শ্রেণির সাঁওতালি মিডিয়ামে কর্মশিক্ষার শিক্ষক নিয়োগে শূন্যপদের সংখ্যা ছিল ১৯।

মামলাকারী শিবরাম সিনহা-সহ ৮ চাকুরীপ্রার্থীর অভিযোগ, নিয়োগের মেধা তালিকায় তাদের নাম থাকা সত্ত্বেও তাদের চাকরি দেওয়া হয়নি। অভিযোগ শিক্ষা দফতর তরফে তাদের এডুকেশনাল কোয়ালিফিকেশন ভেরিফিকেশনও হয়ে গিয়েছিল। তারপরও নিয়োগ দেওয়া হয়নি।

চাকরিপ্রার্থীদের অভিযোগ, নিয়োগপত্র না পাওয়ায় মধ্যশিক্ষা পর্ষদের কাছে তারা আবেদন জানিয়েছিলেন। কিন্তু পর্ষদের তরফে কোনো সুরাহা না হওয়ায় তারা কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। এদিন আদালতে মামলা উঠলে মামলাকারীদের আইনজীবী জানান, বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী মোট ১৯টি শূন্য পদ ছিল। তার মধ্যে ১৭ জনের নাম চূড়ান্ত মেধাতালিকায় নথিভুক্ত ছিল। সে ক্ষেত্রে সকলেরই নিয়োগ পাওয়া উচিৎ। কিন্তু মামলাকারীদের চাকরি থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। সমস্ত তথ্য যাচাই করে তাদের নিয়োগ প্রক্রিয়া থেকে বঞ্চিত করেছে স্কুল সার্ভিস কমিশন এবং মধ্যশিক্ষা পর্ষদ।

High Court

আরও পড়ুন: মাসিক নূন্যতম ১০০০০ টাকা, পেনশন নিয়ে বিরাট ঘোষণা, সরকারি কর্মীদের বড় উপহার কেন্দ্রের

মামলাকারীদের আইনজীবীর দাবি, যোগ্যদের বঞ্চিত করে অন্যদের নিয়োগ করা হয়েছে। কীসের ভিত্তিতে কাদের চাকরি দেওয়া হল এই নিয়ে আদালতের নজরদারিতে নিরপেক্ষ তদন্ত হওয়া উচিৎ। শুক্রবার বিচারপতি রাই চট্টোপাধ্যায়ের এজলাসে এই মামলা উঠলে পর্ষদকে কড়া নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি।

আদালতের নির্দেশ, দীর্ঘদিন আবেদনকারীদের আবেদন মধ্যশিক্ষা পর্ষদ ফেলে রাখতে পারে না। এরপরই পর্ষদকে সময়সীমা বেঁধে দিয়েছেন বিচারপতি। হাইকোর্টের (Calcutta High Court) নির্দেশ, ৬ সপ্তাহের মধ্যে এব্যাপারে পর্ষদকে পদক্ষেপ নিতে হবে। নির্দেশ অমান্য করলে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিচারপতি।

Sharmi Dhar
Sharmi Dhar

শর্মি ধর, বাংলা হান্ট এর রাজনৈতিক কনটেন্ট রাইটার। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৩ বছর ধরে সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত ।

সম্পর্কিত খবর