বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সন্দেশখালি (Sandeshkhali) কাণ্ডে মোট ৪২টি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছে কলকাতা হাই কোর্টে (Calcutta High Court)। বৃহস্পতিবার ওই মামলার শুনানিতে সন্দেশখালি কাণ্ডের মূল হোতা শেখ শাজাহানের বিরুদ্ধে এখনও পর্যন্ত দায়ের হওয়া FIR এবং দাখিল করা চার্জশিট তলব করেছেন প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। আদালতের নির্দেশ মুখবন্ধ খামে সমস্ত FIR এবং চার্জশিট রাজ্য জমা করবে।
বৃহস্পতিবার মামলার শুনানিতে ইডি জানায়, তদন্তের প্ৰতি পর্যায়ে তাদের বাধার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। এদিন প্রধান বিচারপতির কাছে শেখ শাহজাহানের বিরুদ্ধে যত FIR এবং চার্জশিট দাখিল হয়েছে সেগুলির কপি চেয়ে আবেদন জানায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। ইডি জানায়, ওই অভিযোগগুলোর তদন্ত তারা করতে চায় না তবে আর্থিক দুর্নীতির তদন্তের কারণে তাদের সেসব দেখার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।
ওদিকে আইনজীবী প্রিয়াঙ্কা টিব্রেওয়াল সওয়াল করেন, সন্দেশখালির তদন্তে কমিশন গঠন করা হোক। শাহজাহান গ্রেফতার হলেও সেখানে এখনও অনেক শাহজাহান লুকিয়ে আছে। তাদের অত্যাচারে মহিলারা নিজেদের বাসস্থান ছাড়তে বাধ্য হচ্ছেন। সন্দেশখালির ঘটনার সঙ্গে প্রশাসনের সর্বস্তরের আধিকারিকরা যুক্ত আছেন। এই সমস্ত কিছুর বিরুদ্ধে অবিলম্বে পদক্ষেপ নেওয়া উচিৎ।
রাজ্যের আইনজীবী বলেন, সন্দেশখালির এই মামলার সঙ্গে আর্থিক দুর্নীতির কোনও যোগ নেই। এই যুক্তি দেখিয়ে তথ্য দেওয়া যাবেনা বলে জানায় রাজ্য। রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল বলেন, “সন্দেশখালি নিয়ে দায়ের হওয়া ৪২ টি জনস্বার্থ মামলা খুঁজলে দেখা যাবে এই রাজ্যে কিছু মানুষ সব সময় জনস্বার্থ মামলা নিয়ে থাকেন। সন্দেশখালি ঘটনার পর বলা হচ্ছে রাজ্যে মহিলারা সুরক্ষিত নয়। অভিযোগ জানাতে পারছেন না তারা। একথা সম্পূর্ণ মিথ্যা।”
আরও পড়ুন: মন্ত্রীপদ খোয়া যাবে ব্রাত্য বসুর? বিরাট অভিযোগ এনে নবান্নে সুপারিশপত্র পাঠালেন রাজ্যপাল
ওদিকে প্রধান বিচারপতি বলেন, “সন্দেশখালি কাণ্ডে যে যে অভিযোগ উঠছে তার একটিও যদি সত্যি প্রমাণিত হয়, তা ১০০ শতাংশ লজ্জাজনক বিষয়। গোটা বিষয় নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব রাজ্য সরকারেরই।ধর্ষণের একটি অভিযোগও সত্যি হলেও সেটা অত্যন্ত লজ্জাজনক। জাতীয় রিপোর্ট অনুযায়ী পশ্চিমবঙ্গ মহিলাদের জন্য সবথেকে সুরক্ষিত। এই অবস্থায় যদি একজন মহিলার অভিযোগও সত্যি হয় তাহলে সেটা দুর্ভাগ্যজনক। একটি অভিযোগও সত্যি হলে পুলিস এবং প্রশাসনকে তার দায় নিতে হবে।”