বাংলা হান্ট ডেস্কঃ এক নাটকীয় অধ্যায়ের অবসান বলা যেতে পারে। গত ৫ জানুয়ারি থেকে ২৮ ফেব্রুয়ারী। প্রায় দুমাস পর অবশেষে পুলিশের জালে ধরা পড়েছেন সন্দেশখালির (Sandeshkhali) শেখ শাহজাহান। সন্দেশখালিতে ইডির ওপর আক্রমণ, আর ঘটনার ৫৬ দিনের মাথায় রাজ্য পুলিশের হাতে গ্রেফতার তৃণমূলের শেখ শাহজাহান (Sheikh Shahjahan)।
সূত্রের খবর, মঙ্গলবার রাতেই মিনাখাঁর বামনপুকুর বাজার এলাকায় খ্রিস্টান পাড়া থেকে শাহজাহানকে গ্রেফতার করা হয়। ইডির উপর হামলার ঘটনাতেই শাহজাহান শেখকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন এডিজি দক্ষিণবঙ্গ সুপ্রতীম সরকার। রাজ্য পুলিশ ইতিমধ্যেই তৃণমূল নেতা শাহজাহানের বিরুদ্ধে ১১টি ধারায় মামলা রুজু করেছে। এদিন বসিরহাট মহকুমা আদালতে পেশ করা হলে শাহজাহানের ১০ দিনের পুলিশি হেফাজত দিয়েছেন বিচারক।
ওদিকে এদিন হাইকোর্টে (Calcutta High Court) ছোটেন শেখ শাহজাহানের আইনজীবী। হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়ে তিনি মামলায় যুক্ত হওয়ার কথা জানান। শাহজাহান হাইকোর্টে গেলে প্রধান বিচারপতি তার আইনজীবীকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘আপনার জন্যই আমরা অপেক্ষা করছিলাম।’
শেখ শাহজাহানের আইনজীবী আদালতে বলেন, ‘দুই দিন আগে আগাম জামিনের আবেদন খারিজ হয়ে গিয়েছে। নিম্ন আদালতে এখনও আমার চারটি আবেদন বিচারাধীন রয়েছে। গতকাল মামলার কথা আমরা জানতাম না।’
আইনজীবীকে উদ্দেশ্য করে প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘৪৩ টি মামলাও আছে। আগামী ১০ বছর আপনাকে খুব ব্যস্ত থাকতে হবে। আপনার মক্কেলের হয়ে অনেক কাজ করতে হবে। তাই ব্যস্ত থাকতে হবে। ৪-৫ জন জুনিয়রও রাখতে হবে।’ পাশাপাশি প্রধান বিচারপতি আরও বলেন, ‘এই ব্যক্তির জন্য আমার কোনও সমবেদনা নেই।’
আরও পড়ুন: গ্রেফতার হতেই শাহজাহানের জীবনে নেমে এল গভীর অন্ধকার, সব খুইয়ে নিঃস্ব সন্দেশখালির ‘বাঘ’?
প্রসঙ্গত, দুদিন আগেই সন্দেশখালি মামলায় শেখ শাহজাহানকে যুক্ত করার নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট । শেখ শাহজাহানের গ্রেফতারিতে কোনও বাধা নেই। পুলিশ চাইলেই শাহজাহানকে গ্রেফতার করতে পারে বলে সাফ জানিয়েছিলেন হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম। আদালতের সবুজ সংকেতের পরই পুলিশের হাতে গ্রেফতার শেখ শাহজাহান।