বাংলা হান্ট ডেস্কঃ নিয়োগ-দুর্নীতির মামলায় দীর্ঘদিন ধরেই সরগম গোটা বাংলা। রাজ্যের শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগে আগেই জেলবন্দি হয়েছেন একাধিক হেভি ওয়েট নেতা-মন্ত্রীরা। অন্যদিকে সুপ্রিম কোর্টে ঝুলছে এসএসসি ২৬ হাজার চাকরির মামলা। এরই মাঝে দীর্ঘদিন চাকরি না পেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হলেন ২২ জন মামলাকারী। অভিযোগ আদালত নির্দেশ দেওয়ার পরেও আজও চাকরি পাননি ওই চাকরিপ্রার্থীরা।
এমডি-কে ধমক দিলেন হাইকোর্টের (Calcutta High Court) প্রধান বিচারপতি
আদালতে এই অভিযোগ শোনা মাত্রই মেজাজ হারালেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম। জানা যাচ্ছে, দীর্ঘদিন ধরে চাকরি না পেয়ে আরও একবার কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন মামলাকারীরা। বৃহস্পতিবার ওই মামলার শুনানি ছিল আদালতে। অভিযোগ পেয়ে এদিন প্রচন্ড ক্ষুব্ধ হন প্রধান বিচারপতি। বিরক্ত হয়ে তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দেন, ‘আপনাদের আচরণ খুব খারাপ, এবার জেলে পাঠাবো আপনাদের।’
জানা যাচ্ছে, নর্থ বেঙ্গল স্টেট ট্রান্সপোর্ট কর্পোরেশন (NBSTC)-এর নিয়োগ নিয়ে এই মামলা হয়েছিল আদালতে (Calcutta High Court)। অভিযোগ শুনে এদিন হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি ওই সংস্থার এমডি-কে নির্দেশ দিয়েছেন চাকরি না দেওয়া হলে এবার সশরীরে আদালতে হাজিরা দিতে হবে।
আরও পড়ুন: সরকারি আবাসনে ব্যবসা! সচিবের রিপোর্ট তলব করলেন, হাইকোর্টের ক্ষুব্ধ প্রধান বিচারপতি
সংস্থার তরফে আদালতে পাল্টা জানানো হয়েছে ওই ২২ জন চাকরিপ্রার্থীর মধ্যে মাত্র ৯ জন নথি জমা দিয়েছেন। এমনকি তাদের মধ্যে বেশ কয়েকজনের চাকরির বয়স পার হয়ে গিয়েছে বলেও দাবি করেছে ওই সংস্থা। তবে এই যুক্তি শুনতে নারাজ প্রধান বিচারপতি। মামলা কারীদের আইনজীবী বিকাশ ভট্টাচার্য আদালতে সাওয়াল করতে গিয়ে এদিন বলেছেন, ‘এবার লোক গুলো মরে যাবে।’
নথি জমা দেওয়া হয়নি শুনে প্রধান বিচারপতি, এদিন বলেছেন, ‘এগুলি আসলে নির্দেশ এড়ানোর অজুহাত। আর কি ডকুমেন্টস দেবে? এগুলো অপ্রয়োজনীয়। এমডি নির্দেশ পালন করতে চাইছেন না এটা স্পষ্ট।’ আর বয়স পেরিয়ে যাওয়ার কথা প্রসঙ্গে প্রধান বিচারপতি বলেছেন, ৬২ থেকে ৬৫ বছর পর্যন্ত কাজ করতে পারে এই কর্মীরা। এনবিএসটিসি-কে আদালতে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই নির্দেশ মানা না হলে আগামী ৬ মার্চ আদালতে হাজিরা দিতে হবে এমডি-কে।