বাংলা হান্ট ডেস্কঃ স্যালাইনের জেরে প্রসূতি মৃত্যুর ঘটনায় সরগরম রাজ্য। সম্প্রতি মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে (Medinipur Medical College) একই দিনে সিজার হওয়া ৫ জন প্রসূতি অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। শুক্রবার তাঁদের মধ্যে একজন, মামনি রুইদাসের মৃত্যু হয়। এবার সেই স্যালাইন কাণ্ড গড়াল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court) অবধি। এই ঘটনায় দু’টি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করার আবেদন যায় উচ্চ আদালতে। দু’টি মামলাই দায়ের করার অনুমতি দিয়েছে প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানম (Justice TS Sivagnanam) ও বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ।
স্যালাইন কাণ্ডের জল গড়াল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court) অবধি!
স্যালাইন কাণ্ড নিয়ে দু’টি জনস্বার্থ মামলার মধ্যে একটির জন্য আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলেন আইনজীবী ফিরোজ এডুলজি এবং দ্বিতীয়টি করতে চেয়ে হাইকোর্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন আইনজীবী কৌস্তভ বাগচি। আগামী বৃহস্পতিবার আইনজীবী ফিরোজ এডুলজির মামলার শুনানি হতে পারে বলে খবর।
সোমবার এডুলজি হাইকোর্টে (Calcutta High Court) বলেন, এই রাজ্যের একটি সংস্থার নিম্ন মানের স্যালাইনের জেরে কর্ণাটকে কয়েকজনের প্রাণহানি হয়। এরপর সেই সংস্থাকে ব্ল্যাক লিস্টেড করে দেয় কর্ণাটক সরকার। সংশ্লিষ্ট সংস্থার থেকে বরাত নেওয়াও বন্ধ করা হয়। এবার এই রাজ্যেও স্যালাইন ব্যবহারের পর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। এমতাবস্থায় এই বিষয়ে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করার আবেদন জানিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুনঃ শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে বড় পদক্ষেপ! নতুন বছরেই বিরাট সুখবর! খুশি চাকরিপ্রার্থীরা
এই বিষয়ে উচ্চ আদালতের প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানম বলেন, ‘সংবাদমাধ্যমে এই বিষয়ে দেখেছি। রাজ্য সরকার সম্ভবত কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করছে’। এদিকে ইতিমধ্যেই জানা গিয়েছে, আগামী বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টে আইনজীবী ফিরোজ এডুলজির মামলার শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে।
অন্যদিকে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে প্রসূতি মৃত্যুর ঘটনার পর থেকে স্যালাইন (রিঙ্গার্স ল্যাকটেট) নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। সংশ্লিষ্ট স্যালাইনের গুণমান নিয়ে প্রশ্ন ওঠার কারণে রাজ্যের ড্রাগ কন্ট্রোলের তরফ থেকে গত ১০ ডিসেম্বর ওই স্যালাইন (Saline) উৎপাদন এবং সরবরাহ বন্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হয়। কর্ণাটক সরকারের তরফ থেকে ওই স্যালাইন প্রস্তুরকারী সংস্থাকে ব্ল্যাক লিস্টেড করার পর রাজ্যের তরফ থেকে ওই নির্দেশ দেওয়ার বিষয়টি মেনেছেন রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগম।
আইনজীবী ফিরোজ এডুলজির দাবি, এরপরেও চলতি মাসে আরজি কর হাসপাতালে সংশ্লিষ্ট স্যালাইন ব্যবহার করা হয়েছে। এবার এই স্যালাইন কাণ্ডের জল গড়াল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court) অবধি। উচ্চ আদালতে কী হয় সেদিকেই নজর সকলের।