বাংলা হান্ট ডেস্কঃ কল্যাণী এইমস-এর আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগে জনস্বার্থ মামলা করা হয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court)। বিনা টেন্ডারে হাসপাতালের একাধিক কাজের বরাত দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ ওই মামলা খারিজ করে দিয়েছে। শুধু তাই নয় মামলাকারীর ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি।
বিরাট আশংকা কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court)
গতকাল আদালতে মামলা চলাকালীন কার্যত সন্দেহ প্রকাশ করেছেন হাইকোর্টের (Calcutta High Court) প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানম। একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে ই-টেন্ডারের কপি ওই মামলাকারীর কাছে কীভাবে গেল সেই নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে হাইকোর্ট। এক্ষেত্রে দৃষ্টান্তমূলক ভাবে আর্থিক জরিমানা ধার্য করে মামলা খারিজ করে দেওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।
আরও পড়ুন: কত কোটির বিনিয়োগ প্রস্তাব এল বাংলায়? পরিসংখ্যান দিলেন মমতা, জানালেন ২১২টি মউ স্বাক্ষরের কথা
আদালতে এদিন প্রধান বিচারপতির প্রশ্নের মুখে পড়েছিলেন মামলাকারী। তিনি প্রশ্ন করেন, ‘আপনি কি চান হাসপাতাল বন্ধ করে দেওয়া হোক?’ এরপরেই তাঁর কাছে জানতে চাওয়া হয়, ‘একজন সাধারণ এলাকাবাসী হয়ে ই-টেন্ডার সংক্রান্ত নথি পেলেন কী করে?’ এই প্রসঙ্গে প্রধান বিচারপতির গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য ছিল, ‘মামলাকারীর ঘাড়ে বন্দুক রেখে কেউ পিছন থেকে সেটা চালাচ্ছে’। একইসাথে আরও জানা যায়, এইমস হাসপাতাল তৈরির দাবি জানিয়ে অনেক মামলাও হয় হাইকোর্টে (Calcutta High Court)।
উল্লেখ্য এর আগে ওই কল্যাণী নিজেদের আত্মীয়দের চাকরি পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল বিজেপি বিধায়ক নীলাদ্রিশেখর দানা ও প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুভাষ সরকারের বিরুদ্ধে। প্রভাবশালীর আত্মীয়দের চাকরি পাইয়ে দেওয়ার এই অভিযোগে জনস্বার্থ মামলা করা হয়েছিল হাইকোর্টে। যা গত বছরেই খারিজ করে দিয়েছে হাইকোর্ট।