বাংলা হান্ট ডেস্কঃ রাজ্যজুড়ে একাধিক ক্ষেত্রে রয়েছে ভুরি ভুরি দুর্নীতির অভিযোগ। তালিকা থেকে বাদ গেল না রাজ্যের সরকারি আবাসনগুলিও। অভিযোগ রাজ্যের একাধিক সরকারি আবাসন দখল করে রমরমিয়ে চলছে ব্যবসা। এই অভিযোগ পেয়েই এবার মেজাজ হারালেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম।
সচিবের রিপোর্ট তলব করল হাইকোর্ট (Calcutta High Court)
রাজ্যের আবাসন দফতরের সচিবকে এই বিষয়ে একগুচ্ছ নির্দেশ দিয়েছেন তিনি৷ হাইকোর্টের (Calcutta High Court) তরফ থেকে এদিন জানতে চাওয়া হয়েছে, কলকাতায় সরকারি আবাসনগুলিতে নিযুক্ত অফিসার এবং কর্মচারীর সংখ্যা কত? বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম ও বিচারপতি বিভাস পট্টনায়কের ডিভিশন বেঞ্চ এই নির্দেশ দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: বাম আমলে নিয়োগ দুর্নীতি! TMC পরিচালিত বোর্ডের চেয়ারম্যানকে তলব করল হাইকোর্ট
বেসরকারি সংস্থার আইনজীবী এপ্রসঙ্গে জানিয়েছেন, মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার জন্য ইতিমধ্যে ৮৯টি ফ্ল্যাট ফেরত দেওয়া হয়েছে। সরকারি আবাসন দখল করে ব্যবসা করার এই মামলায় প্রধান বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) কর্মচারীরা প্রায় ৬০-৭০ কিলোমিটার দূর থেকে আসেন। প্রতিদিন ট্রেনে-বাসে চেপেই যাতায়াত করেন তাঁরা। তাই ট্রেন এবং বাসের সমস্যা হলে তাদের পৌঁছতেও দেরি হয়ে যায়। তাই যে সমস্ত কর্মচারীদের বাড়ি দূরে তাঁরা সরকারি আবাসন পাওয়ার যোগ্য। কারণ দূরে থাকার জন্য অনেকেই সময় মতো হাইকোর্টে পৌঁছতে পারেন না।
প্রধান বিচারপতির সুপারিশ, শহর কলকাতায় অবস্থিত সরকারি আবাসন গুলির মধ্যে থেকে অন্তত ১৫০ ফ্ল্যাট কলকাতা হাইকোর্টের জন্য বরাদ্দ করা হোক। এছাড়াও কলকাতায় মোট কতগুলি সরকারি ফ্ল্যাট রয়েছে, এবং তার মধ্যে কতগুলিতে কর্মরত অফিসার এবং কর্মচারী রয়েছেন তা-ও হলফনামা দিয়ে জানাতে হবে সচিবকে। এছাড়াও, রাজ্যের সমস্ত সরকারি আবাসনগুলি কোন অবস্থায় আছে এবং সেগুলিতে কতজন কর্মরত সরকারি কর্মচারী বা দখলদার রয়েছেন সেই বিষয়েও কলকাতা হাইকোর্টকে বিস্তারিত তথ্য জানাতে বলা হয়েছে।