বাংলা হান্ট ডেস্কঃ প্রায় শেষের মুখে জলপাইগুড়ির কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) সার্কিট বেঞ্চের কাজ। এখন এই সার্কিট বেঞ্চের স্থায়ী উদ্বোধন শুধু সময়ের অপেক্ষা। উদ্বোধনের দিন নিয়েই এখন তৈরি হয়েছে নতুন জল্পনা। জানা যাচ্ছে, সব ঠিক থাকলে গরমের ছুটি পড়ার আগেই জলপাইগুড়ির এই সার্কিট বেঞ্চের স্থায়ী ভবনের উদ্বোধন হয়ে যেতে পারে।
কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) সার্কিট বেঞ্চের উদ্বোধন ঘিরে তুঙ্গে জল্পনা
শনিবার হাই কোর্টের (Calcutta High Court) সার্কিট বেঞ্চের নতুন ভবনে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবস্থার পরিকাঠামোর একটি মহড়া সম্পন্ন হয়েছে। মোট ৫৩ একর জমির উপর গড়ে ওঠা এই স্থায়ী ভবনের উদ্বোধন ঘিরে এই মুহূর্তে প্রস্তুতি চলছে জোর কদমে। জানা যাচ্ছে, গত সপ্তাহের শনিবার ওই মহড়ায় হাইকোর্টের (Calcutta High Court) এই নতুন ভবন থেকে ভার্চুয়াল শুনানি ছাড়াও ভিডিয়ো বৈঠক, এবং শুনানির সরাসরি সম্প্রচার থেকে শুরু করে বৈদ্যুতিন যাবতীয় পরিকাঠামো খতিয়ে দেখা হয়েছে।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে এই সার্কিট বেঞ্চের উদ্বোধন কবে হবে? জানা যাচ্ছে সার্কিট বেঞ্চের স্থায়ী ভবনের এখনও বেশ কিছু কাজ বাকি রয়েছে। সেই সমস্ত কাজ যদি শেষ না হয় তাহলে গরমের ছুটির পরেই উদ্বোধন করা হবে। তবে যদি সমস্ত কাজ শেষ হতে অনেক দেরি হয়ে যায় তাহলে সার্কিট বেঞ্চের উদ্বোধন হবে জুন মাসে। জানা যাচ্ছে, প্রথমে চারটি আদালত কক্ষ নিয়ে সার্কিট বেঞ্চের স্থায়ী ভবনের কাজ শুরু হবে। ইতোমধ্যেই তার জন্য প্রয়োজনীয় আসবাব পত্রও নাকি ঢুকতে শুরু করেছে স্থায়ী ভবনে।
আরও পড়ুন: ‘সনাতন হিন্দু ধর্ম খারাপ?’ মমতার ‘গন্দা ধর্ম’ মন্তব্য নিয়ে চরম হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর
জানা যাচ্ছে, বিচারপতিদের প্রতিনিধি দলের থেকে রিপোর্ট পাওয়ার পর পরিকাঠামো পরিদর্শন করতে আসবেন কলকাতা হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানম। উত্তরবঙ্গে সার্কিট বেঞ্চের মহড়া শেষে অধিকাংশ বিচারকরাই বিশেষ করে জাস্টিস শম্পা সরকার এবং বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু এক্ষেত্রে ইতিবাচক আশা প্রকাশ করেছেন। সার্কিট বেঞ্চের স্থায়ী পরিকাঠামো সংক্রান্ত হাই কোর্টের কমিটির চেয়ারম্যান, বিচারপতি শম্পা সরকার আইটি মহড়ার কথা জানিয়ে বলেছেন, ‘খুব ভাল কাজ এগোচ্ছে। এ বছরেই খুব তাড়াতাড়ি সার্কিট বেঞ্চের কাজ শুরু হবে। একটি অস্থায়ী ভবনে আদালত চলছে। সেখান থেকে তা নতুন ভবনে নিয়ে আসা হবে।’
অন্যদিকে বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর প্রতিক্রিয়া ছিল, ‘যে ভাবে কাজ এগোচ্ছে, তা প্রত্যাশারা থেকেও বেশি। এর পরে প্রধান বিচারপতি চূড়ান্ত পরিদর্শনে আসবেন।’ কাজ শেষ করার সময়সীমা থাকলেও তা জানাতে চাননি বিচারপতি বসু। তাঁর কথায়, ‘সময়সীমা আছে, তবে সেটা আমরা বলছি না। স্থায়ী ভবন তৈরি, আমরাও তৈরি।’