বাংলা হান্ট ডেস্কঃ এজলাসে ঢুকে খোদ বিচারককে হেনস্থা। এবার কড়া অবস্থান নিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। বনগাঁ আদালতে বিচারক (Judge) সোমা চক্রবর্তীকে হেনস্থার অভিযোগে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের হয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টে। এদিন বিচারপতি দেবাংশু বসাক ও বিচারপতি মহম্মদ সব্বর রশিদির ডিভিশন বেঞ্চে সেই মামলা উঠলে বিচারক হেনস্থার ঘটনায় সাত আইনজীবীকে (Lawyers) দোষী সাব্যস্ত করল হাইকোর্ট।
কী নির্দেশ দিল হাইকোর্ট? Calcutta High Court
তবে আইনজীবীদের দোষী সাব্যস্ত করলেও হাইকোর্ট জানিয়েছে, এই মুহূর্তে তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাবে না। যদি পরবর্তীতে ফের এই ধরনের কোনও ঘটনা ঘটে তাহলে এই মামলার সঙ্গে ওই নতুন মামলাটিকে সংযুক্ত করে এই আইনজীবীদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেবে হাইকোর্টের প্রশাসন।
ঠিক কী অভিযোগ ছিল?
গত বছর এক জন ল ক্লার্কের মৃত্যু থেকে গোটা ঘটনার সূত্রপাত। ওই কর্মীর মৃত্যুতে কর্মবিরতির ডাক দিয়েছিলেন ল ক্লার্ক ও আইনজীবীরা। এদিকে ফাস্ট ট্র্যাক সেকেন্ড কোর্টে মামলা চালিয়েছিলেন এই বিচারক সোমা চক্রবর্তী। তার এজলাসে আইনজীবী পায়েল রায় আদালতে মামলা চালাচ্ছিলেন।
আরও পড়ুন: কালীগঞ্জে উপভোট! তরজায় জড়ালেন BJP প্রার্থী ও প্রিসাইডিং অফিসার, কী নিয়ে উত্তেজনা?
এদিকে কর্মবিরতির মধ্যে কেন মামলা চলবে এই নিয়ে উত্তেজনা ছড়ায়। বিচারক সোমা চক্রবর্তীর এজলাস কক্ষে ঢুকে আইনজীবীদের চিৎকার-চেঁচামেচি শুরু করেন। ৪০ বছর ধরে যৌথ বারের রেজোলিউশন কপি আদালতে পাঠানো হয়েছিল। তারপরও কেন মামলা চালানো হবে? এই প্রশ্ন তুলে বিক্ষোভ দেখানো হয়।
ভিডিও দেখুন: https://youtu.be/gqYXHOVWvQQ?si=FPRooNSUQAXseRl3
এই ঘটনার সময়ই আইনজীবীদের সঙ্গে কথা কাটাকাটিতে জড়িয়ে পড়েন বিচারক সোমা চক্রবর্তী। তিনি অসুস্থও হয়ে পড়েন বিচারক। হাসপাতালেও ভর্তি ছিলেন তিনি। এর জেরেই বিচারক হেনস্থার অভিযোগে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের হয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টে। সেই মামলাতেই কড়া নির্দেশ হাইকোর্টের।