মারধর থেকে ইলেকট্রিক শক, পুলিশকে দিতে হয় ১ লক্ষ ৭৫ হাজার! ঢোলাহাট কাণ্ডে ফাঁস বিস্ফোরক তথ্য

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ কয়েকদিন ধরে শিরোনামে রয়েছে ঢোলাহাট কাণ্ড (Dholahat Case)। ঢোলাহাট থানার ঘাটবকুলতলা অঞ্চল নিবাসী আবু সিদ্দিক হালদার সম্প্রতি কলকাতার একটি নার্সিংহোমে প্রয়াত হয়েছেন। এরপর মৃতের পরিবারের তরফ থেকে আঙুল তোলা হয় পুলিশের দিকে। পিটিয়ে খুনের অভিযোগে সরব হন তাঁরা। ইতিমধ্যেই জল গড়িয়েছে কলকাতা হাই কোর্ট (Calcutta High Court) অবধি। এবার সেখানেই বিস্ফোরক দাবি করল নিহতের পরিবার।

ঢোলাহাট কাণ্ডে হাই কোর্টে (Calcutta High Court) চাঞ্চল্যকর তথ্য তুলে ধরল মৃতের পরিবার

বৃহস্পতিবার হাই কোর্টে এই মামলার শুনানি ছিল। সেখানে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য তুলে ধরে নিহত আবু সিদ্দিক হালদারের পরিবার। একটি চুরির ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছিল আবুকে। তাঁকে তখন প্রচণ্ড মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। মৃতের পরিবারের দাবি, সেই কারণেই মৃত্যু হয়েছে আবুর।

   

নিহতের পরিবারের দাবি, আবুর ওপর ভীষণ অত্যাচার করা হয়েছে। এমনকি তাঁকে ইলেকট্রিক শক অবধি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেন আইনজীবী। শুধু তাই নয়, জামিন নিশ্চিত করার জন্য পুলিশকে ১ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা দিতে হয়েছিল বলেও দাবি করা হয়। স্বাভাবিকভাবেই হাই কোর্টের (Calcutta High Court) শুনানিতে এই সকল তথ্য প্রকাশ্যে আসার পর শুরু হয়েছে চর্চা।

আরও পড়ুনঃ বিদ্যুতের বিল নিয়ে চিন্তা শেষ! মিলবে ৩০০ টাকা অবধি ছাড়! দুর্দান্ত প্রকল্প রাজ্য সরকারের

এদিকে রাজ্যের আইনজীবীর দাবি, গত ৩ জুলাই রাত ৮:০৫ নাগাদ নিহত যুবকের কাকা মহসিন হালদার থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। জানানো হয়, নগদ টাকা এবং সোনার গয়না চুরি গিয়েছে। রাজ্যের দাবি, নিহতের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এরপর রাজ্য পুলিশের তরফ থেকে পুলিশি হেফাজতের আর্জি জানানো হলেও বিচারক জামিন দিয়ে দেন। সরকারি আইনজীবী জানান, এদিকে গত ২৩ জুন থেকে থানার সিসিটিভি খারাপ।

Calcutta High Court

এই বিষয়ে WEBEL এবং কাকদ্বীপ আদালতের বিচারককে জানানো হয়েছে। রাজ্য জানায়, মৃতের ময়নাতদন্তের ভিডিওগ্রাফিও করা হয়েছে। আইনজীবী বলেন, হাসপাতাল থেকে তাঁরা জানতে পেরেছেন মৃত জন্ডিস আক্রান্ত ছিলেন। সেই কারণে ক্রিয়েটিনিন এবং ইউরিয়ার মাত্রা বৃদ্ধি পায়। যদিও এই ঘটনা নিয়ে এখনও চাপানউতোর চলছে। আজকের শুনানিতে মৃতের পরিবারের তরফ থেকে যে সকল দাবি করা হয়েছে তা নিয়েও জোর আলোচনা হচ্ছে।

Sneha Paul
Sneha Paul

স্নেহা পাল, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর পড়াকালীন সাংবাদিকতা শুরু। বিগত ২ বছর ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত। রাজনীতি থেকে বিনোদন, ভাইরাল থেকে ভ্রমণ, সব ধরণের লেখাতেই সমান সাবলীল।

সম্পর্কিত খবর