বাংলা হান্ট ডেস্কঃ লোকসভা ভোট মিটে গেলেও ভোট পরবর্তী সন্ত্রাস অব্যাহত। ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনে বঙ্গে ৪২ খানা আসনের মধ্যে ২৯টিই পেয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। বজায় রয়েছে শাসকদলের দাপট। এই আবহে লাগাতার হিংসার ঘটনার খবর সামনে আসছে। তাই সেই পরিস্থিতি সামাল দিতে রাজ্যে রয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। কিন্তু সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনীর থাকা নিয়ে। এই নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) পর্যন্ত মামলা হয়েছে।
গরমের ছুটি শেষ হয়েছে চলতি সপ্তাহেই। স্কুল–কলেজ খুলে গিয়েছে। তবে কিছু কিছু স্কুলে কেন্দ্রীয় বাহিনী ওঠায় স্কুল খুললেও পঠনপাঠন চালু করায় সমস্যা হচ্ছে। এবার এই নিয়ে সাফ নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। শুক্রবার এই মামলার শুনানিতে আদালতের নির্দেশ কেন্দ্রীয় বাহিনীকে বিকল্প কোনও জায়গায় সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। কেন্দ্রীয় সরকার এবং রাজ্য সরকারকে এই নিয়ে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।
শুক্রবার বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন এবং বিচারপতি হিরন্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে মামলা শুনানির জন্য ওঠে। আদালতের পর্যবেক্ষণ, ‘এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এই পরিস্থিতি ছাত্র-ছাত্রীদের মৌলিক অধিকারকে অবমাননা করছে। সংবিধানের ২১এ ধারায় বাধ্যতামূলক শিক্ষার কথা বলা রয়েছে।’
প্রসঙ্গত, শিক্ষা দফতরের নির্দেশ ছিল, ৩ জুন স্কুল খুলে গেলে শিক্ষক ও অশিক্ষককর্মীরা স্কুলে গিয়ে সমস্ত কিছু গুছিয়ে রাখবে। এরপর ১০ তারিখ থেকে স্কুল যাওয়া শুরু করবে পড়ুয়ারা। কিন্তু এখনও কিছু কিছু স্কুলের বেহাল দশা। ভোট মিটে গেলেও উপদ্রুত এলাকার স্কুলগুলিতে এখনও কেন্দ্রীয় বাহিনী রয়েছে। আগেই জাতীয় নির্বাচন কমিশন জানিয়ে দিয়েছে রাজ্যে আগামী ২১ জুন পর্যন্ত কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে।
আরও পড়ুন: এক ধাক্কায় দ্বিগুন বাড়ল ভাতা, DA বৃদ্ধির মাঝেই সরকারি কর্মীদের জন্য নয়া বিজ্ঞপ্তি জারি
প্রসঙ্গত লোকসভা ভোট ঘোষণার আগেই রাজ্যে পৌঁছে যায় কেন্দ্রীয় বাহিনী। কলকাতা সহ জেলার একাধিক স্কুল অধিগ্রহণের নোটিস দিতে শুরু করে পুলিশ। এর ফলে পড়ুয়াদের পঠনপাঠন ব্যাহত হচ্ছিল বলেও অভিযোগ তোলে পর্ষদ। কেন্দ্রীয় বাহিনী কেন কেন্দ্রীয় স্কুলে থাকবে না এই নিয়েও প্রশ্ন ওঠে। এই অবস্থায় ভোট শেষে হওয়ার পরেও দেখা যাচ্ছে বহু স্কুলে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকায় পঠন-পাঠন শুরু করা যাচ্ছে না। এই নিয়েই মামলা হয় হাইকোর্টে। তবে এদিন আদালতের নির্দেশের পর কেন্দ্রীয় বাহিনীকে বিকল্প কোনও জায়গায় সরিয়ে নিয়ে গেলে আর কোনো সমস্যা থাকবে না বলেই মনে করা হচ্ছে।