বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আরজি কর হাসপাতালে ধর্ষণ, খুনের ঘটনার পর থেকেই শিরোনামে রয়েছেন প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ। প্রথমে আর্থিক দুর্নীতির মামলায় গ্রেফতার হয়েছিলেন তিনি। সম্প্রতি ধর্ষণ, হত্যাকাণ্ডের ঘটনাতেও তাঁকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। এরপরেই সামনে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। জানা যাচ্ছে, এই দুর্নীতির অভিযোগেই তাঁর বিরুদ্ধে আগে কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) মামলা দায়ের হয়েছিল।
মামলা খারিজ করেছিল আদালত (Calcutta High Court)
জানা যাচ্ছে, সেই সময় সন্দীপের (Sandip Ghosh) বিরুদ্ধে জোড়া মামলা দায়ের করা হয়েছিল। তবে সেই দু’টি মামলাই খারিজ করে দিয়েছিল আদালত। ফলে তখন ছাড় পেয়ে যান আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ। সেই সময় পদক্ষেপ নেওয়া হলে এখন হয়তো এমন ঘটনা ঘটতো না, এমনটাই মনে করছেন আইনজীবীদের একাংশ।
- সন্দীপের বিরুদ্ধে কী অভিযোগ আনা হয়েছিল?
চলতি বছর জানুয়ারি মাসে সন্দীপকে অধ্যক্ষ পদ থেকে অপসারণের দাবি জানিয়ে হাইকোর্টে (Calcutta High Court) একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়েছিল। প্রধান বিচারপতি টি শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চে অক্ষয়কুমার সারেঙ্গি নামের এক ব্যক্তি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন। মামলাকারীদের তরফ থেকে অভিযোগ করা হয়েছিল, ২০২৩ সালের ৫ জানুয়ারি মেডিক্যাল ওয়ার্কশপের জন্য আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ নিয়ম ভেঙে মর্গ থেকে মৃতদেহ বের করার অনুমতি দিয়েছিলেন। এর ফলে দেহ ড্যামেজ হয়েছিল।
আরও পড়ুনঃ ধর্নাস্থল থেকে খোলা হল ত্রিপল, ফ্যান! পুলিশি চাপ? এবার মুখ খুললেন জুনিয়র ডাক্তাররা
প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানমের (Justice TS Sivagnanam) ডিভিশন বেঞ্চের তরফ থেকে একাধিক কারণে সেই মামলা খারিজ করে দেওয়া হয়। এরপর ওই একই বেঞ্চে মেডিক্যাল বর্জ্য পাচারের অভিযোগ তুলে ওই একই অভিযোগকারী জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন। সেবারও তা খারিজ করে দেয় আদালত।
দেহ পাচার সম্বন্ধিত জনস্বার্থ মামলায় আবেদনকারীর অন্যতম আইনজীবী তরুণজ্যোতি তিওয়ারি বলেন, ‘দেহ পাচার সংক্রান্ত জনস্বার্থ মামলা যখন দায়ের হয়েছিল তখন সেটি টেকনিক্যাল কারণে প্রত্যাহার করতে হয়। তবে আমার মনে হয়, সেই সময় যদি দুর্নীতির অভিযোগ গুরুত্ব পেত, তাহলে আজকের এই অবস্থা তৈরি হতো না’।
মামলাকারীর তরফের আইনজীবী শ্রীকান্ত দত্ত বলেন, ‘আদালত কেন আমাদের আবেদন গ্রহণ করেনি, সেটা আমার পক্ষে বলা কঠিন। তবে আমরা যে কারণে মামলা করেছিলাম, সেটা যে ঠিক তা এখন পরিষ্কার’। ওই মামলায় সরকার পক্ষের হয়ে সওয়াল করা আইনজীবী সুমন সেনগুপ্ত বলেন (Calcutta High Court), ‘জনস্বার্থ মামলায় দুর্নীতির অভিযোগে আরজি করের তৎকালীন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে অপসারণের দাবি জানানো হয়েছিল। জনস্বার্থ মামলার ক্ষেত্রে তা গ্রহণযোগ্য নয়। সেই কারণেই হয়তো এই মামলা খারিজ হয়ে গিয়েছিল’।