বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বাংলা সহ দেশের নানান প্রান্ত থেকে প্রায়ই যৌন হেনস্থার অভিযোগ সামনে আসতে দেখা যায়। আরজি কর হাসপাতালে (RG Kar Case) তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ খুনের ঘটনার পর যেমন রাজ্যে নারী নিরাপত্তার বিষয়টি প্রশ্নের মুখে এসে দাঁড়িয়েছিল। এরপর প্রায় আট মাস কেটে গেলেও এই ঘটনার রেশ পুরোপুরি কাটেনি। এই আবহে নাবালিকার স্তন চেপে ধরা কি আদৌ পকসো আইনে ধর্ষণের চেষ্টা কিনা তা নিয়ে বড় পর্যবেক্ষণ করল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় (Justice Arijit Banerjee) ও বিচারপতি বিশ্বরূপ চৌধুরীর ডিভিশন বেঞ্চের তরফ থেকে এই রায় দেওয়া হয়েছে।
কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) যা হল…
জানা যাচ্ছে, এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে নাবালিকার স্তন চেপে ধরার অভিযোগ উঠেছিল। উচ্চ আদালত সূত্রে জানা যাচ্ছে, অভিযুক্ত ব্যক্তি মদ্যপান করে এক নাবালিকার স্তন চেপে ধরে। এই অভিযোগেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। শুরু হয় বিচারপ্রক্রিয়া। পকসো আইনের দুই ধারায় তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়।
অভিযুক্ত ব্যক্তিকে ১২ বছরের কারাদণ্ড ও ৫০,০০০ টাকা জরিমানা করে আদালত। এরপর ওই ব্যক্তি সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। ততদিনে প্রায় ২ বছর ৪ মাস জেল খেটে ফেলেছেন তিনি। তিনি দাবি করেন, তাঁকে মিথ্যে অভিযোগে ফাঁসানো হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে ধর্ষণের (Rape) চেষ্টার কোনও প্রমাণ নেই। আর সেটা কেউ পেশও করতে পারেনি।
আরও পড়ুনঃ কাশ্মীরে নিহতদের পরিবার পাবে আর্থিক সাহায্য, বিতানের মা-বাবার জন্য একগুচ্ছ ঘোষণা মমতার
অভিযুক্ত ব্যক্তি দাবি করেন, পুলিশ ও নিম্ন আদালতের কাছে একথা জানিয়েও কাজ হয়নি। এমতাবস্থায় মামলাকারীর আইনজীবী উচ্চ আদালতে দাবি করেন, ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৬ ধারা অনুসারে তাঁর মক্কেলের বিরুদ্ধে এহেন অভিযোগ আনা যায় না। পেনিট্রেশনের চেষ্টার কোনও ঘটনা ঘটেনি। পকসো আইনের (POCSO Act) অধীন যৌন হেনস্থার অভিযোগ আনা যেতে পারে। তাতে ৫ থেকে ৭ বছর অবধি কারাদণ্ড হতে পারে।
এই মামলায় আবেদনকারী ব্যক্তিকে জামিন দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) ডিভিশন বেঞ্চ। সমস্ত সওয়াল-জবাব ও তথ্যপ্রমাণ দেখার পর উচ্চ আদালতের পর্যবেক্ষণ, এই ঘটনায় পেনিট্রেশনের কোনও প্রমাণ নেই। সেক্ষেত্রে বলপূর্বক নাবালিকার স্তন চেপে ধরার প্রমাণ থেকে চরম যৌন হেনস্থার অভিযোগ আনা যেতে পারে। তবে সেটা ধর্ষণের চেষ্টা নয় বলে জানিয়েছে বিচারপতি বন্দ্যোপাধ্যায় ও বিচারপতি চৌধুরীর ডিভিশন বেঞ্চ।