বাংলা হান্ট ডেস্কঃ এবার শিরোনামে প্রাথমিক শিক্ষকদের ‘শ্রেণি’ বিভাজন। ইতিমধ্যেই এই নিয়ে রাজ্যের একদল শিক্ষক-শিক্ষিকা কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হয়েছেন। বৃহস্পতিবার বিচারপতি অমৃতা সিনহার (Justice Amrita Sinha) এজলাসে এই মামলার শুনানি ছিল। সেই শুনানিতেই বড় নির্দেশ দিলেন তিনি।
প্রাথমিক শিক্ষকদের ‘শ্রেণি’ বিভাজন নিয়ে হাইকোর্টে (Calcutta High Court) মামলা
গতকাল এই মামলার শুনানিতে নদিয়ার প্রাথমিক স্কুল সংসদের বক্তব্য জানতে চাওয়া হয়। এই বিষয়ে মামলাকারীদের আইনজীবী ফিরদৌস শামিম বলেন, তাঁর মক্কেলরা নদিয়া জেলার। সেই কারণে আদালতের তরফ থেকে ওই জেলার স্কুল সংসদের রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে। যদিও শুধুমাত্র ওই একটি জেলাই নয়, ওই বিষয়ে আরও একাধিক জেলার শিক্ষক-শিক্ষিকারা (Primary Teachers) মামলা করেছেন।
আইনজীবী ফিরদৌস এই প্রসঙ্গে বলেন, ২০১৩ সালে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে জানানো হয়, ২ বছরের প্রাথমিক শিক্ষণের ডিগ্রিধারীদের ‘এ’ শ্রেণির শিক্ষক হিসেবে মানা হবে। তাঁরা ‘এ’ শ্রেণির বেতন পাবেন। আর যদিও ২ বছরের প্রশিক্ষণ না থাকে, তাহলে সেই শিক্ষক-শিক্ষিকারা ‘এ’ ক্যাটেগরির বেতন পাবেন না।
আরও পড়ুনঃ শহরের রাস্তায় ট্রাম ফেরাতে হবে ট্রাম! এবার সুর তুলল এই সংগঠন, তুমুল শোরগোল রাজ্যে!
এদিকে মামলাকারীদের নিয়োগ হয়েছে ২০০৬ সালে। তৎকালীন নিয়ম অনুসারে তাঁরা পিটিটিআইয়ের ১ বছরের কোর্স করেছেন। তবে ২০১৩ সালে রাজ্য সরকারের নিয়মে বলা হয়, ২ বছরের প্রাথমিক শিক্ষণের ডিগ্রিধারীদের ‘এ’ শ্রেণির শিক্ষক হিসেবে মানা হবে। সেক্ষেত্রে আগে নিযুক্তদের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সেই তালিকায় আনা যায় না। তাই এই নিয়মের সাংবিধানিক বৈধতা নেই বলে দাবি করা হয়।
আদালতের খবর, এমন বহু শিক্ষক প্রাপ্য মাইনের থেকে বেশি টাকা পেয়েছেন বলে রাজ্যের তরফ থেকে তা ফেরত চায়া হয়েছিল। তবে ফিরদৌস জানান, আদালতের তরফ থেকে তখন জানানো হয়েছিল এই টাকা ফেরত করার দরকার নেই। এবার প্রাথমিক শিক্ষকদের ‘শ্রেণি’ বিভাজনের এই মামলাতেই নদিয়ার জেলা সংসদের রিপোর্ট চাইল হাইকোর্ট (Calcutta High Court)।