বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সুপ্রিম কোর্টের এক রায়ে বাতিল হয়েছিল ২৫,৭৫২ জন শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীর চাকরি (SSC Recruitment Scam)। সেই রেশ এখন পুরোপুরি কাটেনি। এর মধ্যেই বড় নির্দেশ দিয়ে দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। ২০১৬ সালের এসএসসির শারীরশিক্ষা ও কর্মশিক্ষার নিয়োগ নিয়ে এই নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু (Justice Biswajit Basu)। ফলে এখনও ঝুলেই রইল প্রায় ১৬০০ চাকরিপ্রার্থীর ভবিষ্যৎ।
হাইকোর্টে (Calcutta High Court) জোর ধাক্কা খেল রাজ্য!
শারীরশিক্ষা ও কর্মশিক্ষায় বাড়তি শূন্যপদে নিয়োগের ক্ষেত্রে স্থগিতাদেশ প্রত্যাহারের আবেদন জানিয়েছিল রাজ্য। মঙ্গলবার সেই মামলায় বিচারপতি বসু বলেন, এই মুহূর্তে কোনও স্থগিতাদেশ নেই। সেই সঙ্গেই কীসের ভিত্তিতে স্থগিতাদেশ প্রত্যাহারের আবেদন করছে রাজ্য? সেই প্রশ্নও করেন তিনি।
বৃহস্পতিবার রাজ্যের (Government of West Bengal) তরফ থেকে জানানো হয়, ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে শেষবারের মতো এই মামলায় স্থগিতাদেশ জারি করা হয়েছিল। ইতিমধ্যেই সেই স্থগিতাদেশের মেয়াদ শেষ হয়েছে। তবে সুপ্রিম কোর্টে মামলা চলার জেরে হাইকোর্ট সবক্ষেত্রে স্থগিতাদেশের মেয়াদ বাড়াচ্ছিল। সেই কারণে এক্ষেত্রেও এমনটাই হয়েছে বলে অনুমান করা হয়েছিল।
আরও পড়ুনঃ শুনানি পিছোলেও লাভ! বকেয়া DA মামলায় সাময়িক ‘জয়’ বাংলার রাজ্য সরকারি কর্মীদের
পাল্টা চাকরিপ্রার্থীদের আইনজীবীদের তরফ থেকে ফের নিয়োগের ক্ষেত্রে স্থগিতাদেশ জারি করার দাবি জানানো হয়। সেই দাবি মেনে নেয় কলকাতা হাইকোর্ট। বিচারপতি বসুর নির্দেশ, এই মামলার নিষ্পত্তি না হওয়া অবধি নিয়োগের ক্ষেত্রে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ জারি থাকবে। সূত্র মারফৎ জানা যাচ্ছে, সিঙ্গেল বেঞ্চের এই রায় চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে যাওয়ার কথা ভাবছে রাজ্য। আগামী ১৮ জুলাই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে।
উল্লেখ্য, গত এপ্রিল মাসে শারীরশিক্ষা, কর্মশিক্ষার চাকরিপ্রার্থীরা হাইকোর্ট চত্বরে ধুন্ধুমার কাণ্ড বাঁধান। আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যকে (Bikash Ranjan Bhattacharya) হেনস্থার অভিযোগ ওঠে। বিচারপতি বসুর উদ্দেশে অবমাননাকর মন্তব্য করা হয়। ইতিমধ্যেই এই নিয়ে প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি একাধিক মামলায় উল্লেখযোগ্য রায় দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। এবার শারীরশিক্ষা, কর্মশিক্ষার নিয়োগে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ জারি করল উচ্চ আদালত। এবার এই মামলা কোন দিকে মোড় নেয় সেটাই দেখার।