মৃত অর্জুনের দেহ ময়নাতদন্ত হবে কমান্ড হাসপাতালে, নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বাংলায় বিজেপি নেতা কর্মীদের ওপর শাসকদলের অত্যাচার এবং খুনের অভিযোগ বহুদিন ধরেই তুলে আসছিল রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব। আর এবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের দুদিনের বঙ্গ সফরের মাঝেই রহস্যজনক মৃত্যু হল অর্জুন চৌরাসিয়া নামের এক ব্যক্তির। ইতিমধ্যেই বিজেপি দলের দ্বারা অভিযোগ করা হচ্ছে যে, মৃত ব্যক্তি তাদের দলেরই এক কর্মী এবং তাঁর মৃত্যুর পেছনে তৃণমূল দলের হাত রয়েছে। অবশ্য এরই মাঝে তৃণমূলের তরফ থেকেও দাবি করা হয় যে, প্রকৃতপক্ষে অর্জুন তাদের দলের হয়েই কাজ করতো। আর তৃণমূল বিজেপির এই তরজা মাঝে এদিন একটি বড় রায় ঘোষণা করল কলকাতা হাইকোর্ট।

কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ এদিন নির্দেশ দিয়ে জানায় যে, নিহত ব্যক্তি অর্জুন চৌরাসিয়ার ময়নাতদন্ত আলিপুর কমান্ড হাসপাতালে করা হবে। এদিন মৃত্যুর পর প্রথমে পুলিশ অর্জুনের মৃতদেহকে আরজি কর মেডিকেল কলেজে পাঠায়। তবে বর্তমানে হাইকোর্টের এই নির্দেশের পর ততাঁর দেহটিকে কমান্ডে পাঠানো হবে বলে জানা গিয়েছে।

এদিন প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব নির্দেশ দিয়ে জানান, পোস্টমর্টেমের সময় এইমসের বিশেষজ্ঞ এবং আরজিকর মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক সায়েন্স বিভাগের প্রধান উপস্থিত থাকবেন। এছাড়াও ভিডিওগ্রাফির মাধ্যমে পুরো পদ্ধতিটি করার রায় দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। এদিন একগুচ্ছ নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট, যার মাধ্যমে বলা হয়েছে যে, ময়না তদন্তের সময় দক্ষিণ 24 পরগনার মুখ্য বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট উপস্থিত থাকবেন। এছাড়াও অর্জুনের পরিবারকে নিরাপত্তা দেওয়ার পাশাপাশি অর্জুনের মৃতদেহ যাতে কমান্ড হাসপাতলে কোন রকম সমস্যা ছাড়াই পৌঁছতে পারে, তার জন্য কলকাতা পুলিশ কমিশনারকে দায়িত্ব দিয়েছে হাইকোর্ট।

প্রসঙ্গত, কাশীপুর রেল কোয়ার্টারে একটি পরিত্যক্ত ঘরে এদিন অর্জুনের দেহ উদ্ধারের পর থেকে শুরু হয়ে যায় রাজনৈতিক তরজা। একদিকে বিজেপি যেমন তাঁকে নিজেদের কর্মী বলে দাবি করতে থাকে এবং তাদের পক্ষ থেকে আরও জানানো হয় যে, 2013 সালে বিজেপিতে যোগদানের পর 2019 সালে মন্ডল সহ সভাপতি হিসেবে নিযুক্ত হন অর্জুন। যদিও অপরদিকে, তৃনমূলের পক্ষ থেকে বলা হয় যে, পুরভোটের সময় অর্জুন নাকি তাদের হয়ে কাজ করেছিলেন। ফলে স্বভাবতই উত্তপ্ত হয়ে পড়ে পরিস্থিতি এবং এরপর দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছান একাধিক বিজেপি নেতৃত্ব, যাদের মধ্যে ছিলেন নিশীথ প্রামানিক, শুভেন্দু অধিকারী সহ অনেকে। এরপরে বিমানবন্দর থেকে সোজা কাশীপুরে পৌঁছে যান কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এদিন তিনি সিবিআই তদন্তের প্রসঙ্গ তোলেন। ফলে এই বিতর্ক শেষ পর্যন্ত কোথায় গিয়ে থামে, সেদিকেই তাকিয়ে সকলে।

Sayan Das

সম্পর্কিত খবর