শাসকদল মিছিল করলে অসুবিধা হয় না? DA দাবিতে নবান্ন অভিযান হবেই! বয়ান আদালতের

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ডিএ ইস্যুতে ধুন্ধুমার দশা রাজ্যে। একদিকে ন্যায্য পাওনার দাবিতে কলকাতার রাজপথে চলছে আন্দোলন-অনশন অন্যদিকে আদালতে চলছে মামলা। এরই মধ্যে রাজ্য সরকারি কর্মীদের ডাকে সায় দিল কলকাতা হাইকোর্ট। মহার্ঘ ভাতার দাবিতে রাজ্যের সরকারি কর্মচারীদের যে নবান্ন অভিযান (Nabanna Rally), তাতে সম্মতি দিল আদালত। তবে শর্তসাপেক্ষ।

মঙ্গলবার হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা (Justice Rajasekhar Mantha) বলেন, সরকারি কর্মচারীরা যে পথে অভিযান করবেন বলে ভেবেছিলেন সেই পথে তারা নবান্নে যেতে পারবেন না। মিছিলের রুট বদল করে অন্য পথে অভিযান করতে হবে। রুটে বদল এনে আগামী ৪ মে আন্দোলনকারীদের মিছিলে অনুমতি দিয়েছেন বিচারপতি।

প্রসঙ্গত, এই নবান্ন অভিযানের অনুমতি চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল রাজ্য কো-অর্ডিনেশন কমিটি-সহ সরকারি কর্মচারীদের কয়েকটি সংগঠন। এদিন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাসে এই মামলা উঠলে তার তোপের মুখে পরে রাজ্য। প্রসঙ্গত, এই মিছিলের অনুমতি দেয় নি রাজ্য পুলিশ। এই প্রসঙ্গেই প্রশ্ন তুলে বিচারপতি বলেন, “যে বিধিনিষেধের কথা আপনারা এখানে বলছেন সেটা রাজ্যের শাসক দলের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য তো? রেড রোড বন্ধ করে যখন কর্মসূচি হয়, মিছিল হয় তখন পুলিশের অসুবিধা হয় না?”

rajasekhar mantha

বিচারপতির সংযোজন, “কিছু দল যখন মিছিল করে তখন গোটা কলকাতা স্তব্ধ হয়ে যায়। আমি শাসক দলের কথা বলছি না। তখন তো পুলিশের কোনও অসুবিধা হয় না! মানুষ পরিবার নিয়ে রাস্তায় বেরোতে চায়, কিন্তু বেরোতে পারে না! তখন পুলিশের অসুবিধা হয় না ?”

প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার সকালে এই মামলা আদালতে উঠলে বিচারপতি মান্থা রাজ্যের কাছে জানতে চান, ‘‘আন্দোলনকারীরা নিজেদের অসুবিধার কথা জানাতে চাইছে। তা যদি শান্তিপূর্ণ ভাবে হয়, তবে বাধা দেব কেন? রাজ্য এই ধরনের কর্মসূচিতে বিধিনিষেধ আরোপ করতে পারে, কিন্তু বাধা দিতে পারে না।’’

পরে দুপুরে ফের মামলাটি উঠলে রাজ্যের সরকারি কর্মীদের সংগঠনগুলিকে শর্ত সাপেক্ষে নবান্ন অভিযানের অনুমতি দেয় আদালত। বিচারপতি বলেন, ‘‘আগামী বৃহস্পতিবার দুপুর আড়াইটে থেকে সাড়ে ৪টে পর্যন্ত কর্মসূচি করতে পারবেন আন্দোলনকারীরা। হাওড়ার ফেরিঘাট, বঙ্কিম সেতু, মহাত্মা গান্ধী রোড হয়ে হাওড়া ময়দানে শেষ হবে মিছিল।’’


Sharmi Dhar
Sharmi Dhar

শর্মি ধর, বাংলা হান্ট এর রাজনৈতিক কনটেন্ট রাইটার। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৩ বছর ধরে সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত ।

সম্পর্কিত খবর