বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আরজিকর কান্ডের প্রতিবাদে কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) অনুমতি নিয়েই ধর্মতলায় আরও একবার ধর্নায় বসেছিলেন জয়েন্ট প্লাটফর্ম অফ ডক্টরস। ২০ ডিসেম্বর থেকে ২৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত এই ধর্ণায় বসার অনুমতি দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। আজ ২৬ ডিসেম্বর তার শেষ দিন। কিন্তু আগামী দিনেও এই ধর্না চালিয়ে যাওয়ার জন্য মামলা করার আবেদন জানিয়েছিল জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অফ ডক্টরস। এবার সেই আবেদন মঞ্জুর করেছে কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)।
মামলা দায়েরের অনুমতি দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)
বিচারপতির প্রসেনজিৎ বিশ্বাস ইতিমধ্যেই এই অনুমতি দিয়েছেন। শুরু হয়ে গিয়েছে আইনি প্রক্রিয়াও। তবে যদি আইনি প্রক্রিয়ার কোন কিছু অসম্পন্ন থাকে তাহলে তার শুনানি আগামী সোমবার হবে বলেই জানা যাচ্ছে। যদিও আইনজীবীরা চাইছেন যাতে আজই সমস্ত কাজ সম্পন্ন করে বিচারপর্ব শুরু করা যায়।
জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অফ ডক্টরসের প্রতিনিধিরা আজই নিজাম প্যালেস, সিজিও কমপ্লেক্স এবং নবান্নে যাচ্ছেন। অন্যদিকে জুনিয়র চিকিৎসকদের এই সংগঠন আজ দুপুর তিনটের সময় সিবিআইয়ের তদন্তকারী অফিসার সীমা পাহুজার সাথে সাক্ষাৎ করার সময় চেয়ে নিয়ে ইমেইল পাঠিয়েছেন। পাশাপাশি তারা নবান্নের মুখ্য সচিবের সঙ্গে দেখা করার জন্যও চিঠি পাঠিয়েছেন।
তদন্তকারী অফিসারদের সঙ্গে দেখা করার জন্য চিঠি দেওয়া হয়েছে নিজাম প্যালেসেও। অন্যদিকে এই ধর্না চালিয়ে যাওয়ার জন্য আগেই পুলিশের কাছে ইমেইল মারফত অনুমতি চেয়েছিলেন চিকিৎসকরা। কিন্তু পুলিশের তরফে পাল্টা সেই অনুমতি খারিজ করে দেওয়া হয়। এরপর কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হয় জয়েন্ট প্লাটফর্ম অফ ডক্টরস।
আরও পড়ুন: RG Kar-কাণ্ডের প্রতিবাদে বড় সিদ্ধান্ত গুগলের! মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি ডাক্তারদের
এই বিষয়ে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি প্রসেনজিৎ বিশ্বাসের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি মামলা দায়ের করার অনুমতি দিয়েছেন। ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে মামলা করার যাবতীয় প্রক্রিয়া। প্রসঙ্গত আরজিকর কান্ডের ৯০ দিন পেরিয়ে যাওয়ার পরেও এখনও পর্যন্ত চার্জশিট জমা দিতে পারেনি সিবিআই। যার ফলে এই মামলার অন্যতম মূল দুই অভিযুক্ত আরজিকর কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ এবং টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মন্ডলকে জামিন দিয়েছে আদালত।
এরই মধ্যে প্রকাশ্যে এসেছে সেন্ট্রাল ফরেন্সিক সায়েন্স ল্যাবের বারো পাতার রিপোর্ট। ওই রিপোর্টেই উঠে এসেছে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। সেমিনার হলের যে ম্যাট্রেসের ওপর থেকে তিলোত্তমার দেহ পাওয়া গিয়েছিল সেখানে ধস্তাধস্তির কোন চিহ্ন পাওয়া যায়নি। ‘পসিবল স্ট্রাগল’ যেখানে হওয়ার কথা ছিল সেখানে কোন তথ্য-প্রমাণ মেলেনি বলেই দাবি করা হচ্ছে। শুধু তাই নয় এই সেমিনার হল সংলগ্ন এলাকাতেও কোন ধস্তাধস্তির প্রমাণ পাওয়া যায়নি। আর তাতেই প্রশ্ন উঠছে তাহলে কি বদলে ফেলা হয়েছিল ক্রাইম সিন? সিএফএসএল রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসার পর থেকে এবার সেই প্রশ্নই নতুন করে মাথা চাড়া দিয়েছে।