বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বুধবার, অক্ষয় তৃতীয়া। সেদিনই দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের (Jagannath Temple) উদ্বোধন করা হবে। সোমবার সৈকত শহরে পৌঁছে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। মন্দির চত্বর পরিদর্শন করেন তিনি। আগামীকালই আবার কাঁথিতে সনাতনী হিন্দু সম্মেলন আয়োজন করতে চেয়েছিল একটি হিন্দুত্ববাদী সংগঠন। পুলিশি অনুমতি না মেলায় জল গড়ায় কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court) অবধি। এবার তাতেই শর্ত বেঁধে অনুমতি দিলেন বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ।
কী শর্ত বেঁধে দিল হাইকোর্ট (Calcutta High Court)?
অক্ষয় তৃতীয়ায় একদিকে দিঘায় জগন্নাথ মন্দিরের উদ্বোধন, অন্যদিকে কাঁথিতে সনাতনী হিন্দুদের সভা। এই কর্মসূচির সরাসরি উদ্যোক্তা নন শুভেন্দু, তবে সংশ্লিষ্ট সম্মেলনের প্রধান বক্তা রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক। ৩০ তারিখের এই কর্মসূচিতে রাজ্যের আপত্তি ছিল। কেন আপত্তি সেটারও ব্যাখ্যা দেওয়া হয়।
রাজ্যের বক্তব্য, বুধবার জগন্নাথ মন্দিরের উদ্বোধন হবে। সেই কারণে সনাতনী হিন্দু সম্মেলন অন্য দিন করার প্রস্তাব দেওয়া হয়। পাল্টা মামলাকারীর আইনজীবী দাবি করেন, দিঘা থেকে কাঁথির দূরত্ব অনেকটাই। সেক্ষেত্রে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি করতে সমস্যা হওয়ার কথা নয়।
আরও পড়ুনঃ কালীঘাটের কাকুর সহযোগী, নিয়োগ দুর্নীতিতে তোলেন ৭৫ কোটি টাকা! আদালতে হাজিরা দিলেন BJP নেতা
গত সপ্তাহেই এই মামলায় রাজ্যকে সিদ্ধান্ত নিতে বলেছিলেন বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ (Justice Tirthankar Ghosh)। সোমবার রাজ্যের তরফ থেকে জানানো হয়, বুধবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কর্মসূচি আছে। নানান ‘ভিভিআইপি’ অতিথি হাজির থাকবেন। সেটি একটি বড় অনুষ্ঠান। সেখানে নিরাপত্তার জন্য অনেক পুলিশকর্মী দরকার। এহেন পরিস্থিতিতে একই দিনে কাঁথিতে সভার অনুমতি দেওয়া সম্ভব নয়।
সোমবার এই নিয়ে হাইকোর্টে (Calcutta High Court) দীর্ঘক্ষণ শুনানি হয়। তবে রায়দান করেননি বিচারপতি। রায়দান স্থগিত রাখা হয়। মঙ্গলবার লোকসংখ্যা বেঁধে দিয়ে হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের সংশ্লিষ্ট কর্মসূচিতে অনুমতি দিয়ে দেন বিচারপতি ঘোষ। তাঁর নির্দেশ, ৩০০০ লোক নিয়ে এই সভা করা যাবে। তবে এর চেয়ে বেশি জমায়েত করা যাবে না।