বাংলা হান্ট ডেস্কঃ গত বছরের মার্চ মাসে পুরনিয়োগ দুর্নীতির মামলায় ইডির হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন অয়ন শীল। মঙ্গলবার এই দুর্নীতির মামলায় কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) তীব্র ভর্ৎসনার মুখে পড়ে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। হাইকোর্টের বিচারপতি দেবাংশু বসাক ও বিচারপতি স্মিতা দাস দে-র ডিভিশন বেঞ্চে শুনানি ছিল এই মামলার। কেন্দ্রীয় সংস্থার কাছে এদিন তাঁদের ডিভিশন বেঞ্চের প্রশ্ন ছিল কেস ডায়েরি কোথায়?
হাইকোর্টের (Calcutta High Court) তীব্র ভর্ৎসনার মুখে CBI
বিচারপতি সিবিআই-এর কাছে কেস ডায়েরি তলব করতেই, সিবিআই-এর তরফে এক আইনজীবী জানান, ১৭ পুরসভার বিরুদ্ধে দুর্নীতি মামলা চলছে। তাই অনেক পাতার নথি রয়েছে। এই কারণে কেস ডায়েরি আনতে অসুবিধা রয়েছে। একথা শোনা মাত্রই মেজাজ হারান বিচারপতি। ভরা এজলাসে ক্ষোভ উগরে দিয়ে তিনি জানতে চান, ‘বিশাল নথি আনতে অসুবিধা? কটা ট্রাক লাগবে আপনাদের?’
প্রসঙ্গত অনেক বেশি নথি থাকায় আদালতে (Calcutta High Court) এদিন সিবিআই-এর তরফে আর্জি জানানো হয়েছিল, কেস ডায়েরির বদলে রিপোর্ট ফাইল করতে দেওয়া হোক। কিন্তু বিচারপতি এদিন সেই আর্জি খারিজ করে দিয়ে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, এটি একটি দুর্নীতির মামলা। তাই কেস ডায়েরি ছাড়া এই মামলা তিনি শুনবেন না। জানা যাচ্ছে, বুধবার আবার এই মামলার শুনানি রয়েছে।
আরও পড়ুন: নিয়োগ প্রক্রিয়ায় বিরাট সিদ্ধান্ত হাইকোর্টের! খুশীর হাওয়া নতুনদের মধ্যে
প্রসঙ্গত, ইডির মামলায় আগেই জামিন পেয়েছেন অয়ন শীল। জানা যাচ্ছে ইডির মামলায় ১০ লক্ষ টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে জামিন পেলেও এখনও জেলমুক্তি হয়নি তার। কারণ সিবিআই-ও তার বিরুদ্ধে মামলা করেছে।
উল্লেখ্য গত বছরের মার্চ মাসে ইডির হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন অয়ন শীল। জানা যায়, এই মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত তথা বহিষ্কৃত তৃণমূল নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ তিনি। এই দুর্নীতির মামলায় গ্রেফতারির আগে অয়নের বাড়ি, ফ্ল্যাট এবং অফিসে তল্লাশি চালিয়ে দুর্নীতি সংক্রান্ত একাধিক নথি উদ্ধার করেছিল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। তার মধ্যে থেকেই উদ্ধার হয়েছিল অনেক ওএমআর শিটের জেরক্স কপিও।