বাংলা হান্ট ডেস্কঃ মালদহের মানিকচকের বিডিও-র (BDO) কর্মকান্ডে রেগে আগুন কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। এক বছর হতে চললেও আদালতের নির্দেশ কার্যকর না হওয়ায় ক্ষুব্ধ আদালত। এএনএম পদে নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট। তবে এতদিনেও তা কার্যকর না হওয়ায় এবার বিডিও-র কাছে জবাব তলব করল উচ্চ আদালত।
আদালত অবমাননার মামলায় এল কড়া নির্দেশ- Calcutta High Court
আদালতের নির্দেশ না মানায় কেন তাকে জেলে পাঠানো হবে না— সেই প্রশ্নের জবাব তলব করেছে হাইকোর্ট। আদালতে সশরীরে উপস্থিত থেকে এই প্রশ্নের জবাব দিতে হবে বলে নির্দেশ আদালতের। মালদহের মানিকচক থানার ভূতনি সাব সেন্টারে এএনএম (দ্বিতীয়) পদে দুর্নীতি করে নিয়োগ হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। মামলাকারী ভুবনেশ্বরী মণ্ডলের অভিযোগ ছিল, যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও তাকে প্যানেল থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে।
মামলাকারীর অভিযোগ তাকে বাদ দিয়ে ২০০৭ সালে অনুপমা মণ্ডল নামের অন্য এক প্রার্থীকে ওই পদে নিয়োগ করা হয়। এরপর হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন ভুবনেশ্বরী। দীর্ঘ শুনানির পর গত জুলাই মাসে হাইকোর্ট নির্দেশ দেয়, গ্রাম্য এলাকায় বসবাসকারী মানুষের কাছে এএনএম পদের গুরুত্ব রয়েছে। মামলাকারী যেহেতু ওই পদে দীর্ঘদিন যাবৎ অস্থায়ীভাবে কাজ করেছেন, তাই তাকে ওই পদে নিয়োগের নির্দেশ দেয় আদালত।
জুলাইয়ের পর বর্তমানে ফেব্রুয়ারী। বছর ঘুরলেও নিয়োগের নির্দেশ কার্যকর করেননি বিডিও। এরপরই আদালত অবমাননার মামলা দায়ের করেন মামলাকারী। এদিন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাসে সেই মামলা শুনানির জন্য উঠলে ভুবনেশ্বরীর আইনজীবী বলেন, এই ঘটনার পর এই ধরনের সরকারি আধিকারিকদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না হলে এই প্রবণতা বন্ধ হবে না।
আরও পড়ুন: অঙ্গনওয়াড়ির খাবারে এবার বিরিয়ানি-চিকেন ফ্রাই! খুদের আবদার রাখতে বড় সিদ্ধান্তের পথে রাজ্য
এদিকে পাল্টা বিডিও-র তরফে দাবি করা হয়, উপযুক্ত প্রশিক্ষণ নেই বলে ভুবনেশ্বরীকে নিয়োগ দেওয়া যায়নি। এরপরই তুমুল ক্ষোভপ্রকাশ করেন বিচারপতি। বিডিও-র বিরুদ্ধে রুল জারির নির্দেশ দেন জাস্টিস মান্থা। আদালতের নির্দেশ অবমাননার কারণে ওই বিডিওকে কেন এক মাসের জন্য জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হবে না, সেই প্রশ্নেরও জবাব তলব করেছেন বিচারপতি। ১৪ ফেব্রুয়ারি মামলার পরবর্তী শুনানির দিন বিডিওকে সশরীরে উপস্থিত থেকে আদালতের প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে।