নির্দেশ মানছে না কলকাতা পুরসভা! ক্ষুব্ধ হাইকোর্ট

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) নির্দেশ মানছে না কলকাতা পুরসভা। বাংলার অন্যতম ঐতিহ্যশালী স্মৃতিসৌধ ভিক্টোরিয়াকে দূষণের  হাত থেকে বাঁচাতে গত সপ্তাহের বুধবারেই একগুচ্ছ নির্দেশ জারি করেছে কলকাতা হাইকোর্ট। আদালত স্পষ্ট জানিয়েছিল ভিক্টোরিয়ার তিন কিলোমিটারের মধ্যে কোনভাবেই উনুন, কাঠ কয়লা, কেরোসিন বা অন্যান্য জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহার করে রান্না করা যাবে না।

কলকাতা পুরসভার ভূমিকায় ক্ষুব্ধ হাইকোর্ট (Calcutta High Court)

কলকাতা পুরসভাকে নির্দিষ্ট সময় অন্তর সমীক্ষা চালিয়ে বিষয়টি নিশ্চিত করারও নির্দেশ দিয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং বিচারপতি শম্পা সরকারের ডিভিশন বেঞ্চ। কিন্তু সেই নির্দেশ পুরসভার ঠিকমতো মেনে চলা হচ্ছে না বলেই অভিযোগ। হাইকোর্টের নির্দেশ অমান্য করেই নাকি ওই চত্বরে দেদার ব্যবহার করা হচ্ছে কাঠ কয়লাসহ অন্যান্য জীবাশ্ম জ্বালানি।

জানা যাচ্ছে, ময়দান চত্বরে থাকা ক্লাব গুলির অনেকেই কাঠ কয়লা ও জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহার করেই রান্নাবান্না করছে। যদিও শুক্রবার বিচারপতি বসাকের ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ ছিল পৌরসভা কে অবিলম্বে অভিযান চালিয়ে জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার বন্ধ করতে হবে। একই সাথে ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছিল যে সমস্ত ক্লাবগুলি আদালতের (Calcutta High Court) এই নির্দেশ অমান্য করছে তাদের বিরুদ্ধে পুরসভা কী ব্যবস্থা নিয়েছে সেই সংক্রান্ত রিপোর্ট-ও আগামী শুনানির দিন পেশ করতে হবে।

আরও পড়ুন: পাল্টে যাচ্ছে নিয়ম? ‘বাংলার বাড়ি’ তৈরিতে বড় নির্দেশ নবান্নের, চলবে কড়া নজরদারি

আগামী ৩১ জানুয়ারি এই মামলার পরবর্তী শুনানের দিন ধার্য করা হয়েছে। যদিও কলকাতা পুরসভার দাবি হাইকোর্টের নির্দেশ পাওয়ার পর একাধিকবার তারা ওই চত্বরে অভিযান চালিয়েছেন। ময়দান সংলগ্ন ফুটপাতের দোকান গুলিকে এর আগে এক প্রস্থ জরিমানা করেও সতর্ক করা হয়েছে। পাশাপাশি কাঠ ও জ্বালানি জীবাশ্ম ব্যবহার করে রান্না করার জন্য ময়দানের একাধিক ক্লাবকেও ইতিমধ্যে নোটিশ পাঠানো হয়েছে।

Calcutta High Court big order in Madrasah Service Commission teacher recruitment exam 2024

ভিক্টোরিয়ার ঐতিহ্যকে বজায় রাখতেই কলকাতা হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল নির্দিষ্ট সময় অন্তর ভিক্টোরিয়ার তিন কিলোমিটার ব্যাসার্ধের মধ্যে কলকাতা পুরসভাকে অভিযান চালাতে হবে। কেউ কাঠ-কয়ল, কেরোসিন বা অন্যান্য জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহার করছেন কিনা তা খতিয়ে দেখতে হবে এবং প্রত্যেকটি অভিযানের তথ্য পৌরসভাকে নথিভুক্ত করতে হবে। পাশাপাশি কারা পরিবেশ বান্ধব জ্বালানি ব্যবহার করছেন তারও হিসেব রাখতে হবে।

Anita Dutta
Anita Dutta

অনিতা দত্ত, বাংলা হান্টের কনটেন্ট রাইটার। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৪ বছরের বেশি সময় ধরে সাংবাদিকতা পেশার সাথে যুক্ত।

সম্পর্কিত খবর