বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আগেও একাধিকবার প্রশ্ন উঠেছে রাজ্য পুলিশের ভূমিকা নিয়ে। পুলিশের কাছেই চরম হেনস্থার শিকার হয়ে অনেকেই বলতে শুরু করেছিলেন, ‘রক্ষকই ভক্ষক’! বিগত কয়েকদিন ধরেই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে উঠে আসছে পুলিশ-প্রশাসনের এমনই ছবি। সাধারণ মানুষের বিপদেও বারবার ধরা পড়েছে পুলিশের চরম অসহযোগীতার ছবি। আইনের এহেন এক রক্ষকের বিরুদ্ধে চরম হেনস্থা করারও অভিযোগ উঠছে। এবার উঠল ঘুষ নেওয়ার মত গুরুতর অভিযোগ। তাও আবার ২ লক্ষ টাকা। আদালতে (Calcutta High Court) গিয়ে থানার এএসআই-এর বিরুদ্ধে এমনই অভিযোগ করেছেন রাজারহাট গোপালপুরের এক বাসিন্দা।
কলকাতা হাই কোর্টের (Calcutta High Court) ভর্ৎসনার মুখে বাগুইআটি থানার এএসআই
ঘটনার সূত্রপাত হয় জমি বিবাদের একটি মামলাকে ঘিরে। বাগুইআটি থানার ওই এএসআইয়ের কাছেই জমি বিবাদের একটি ঘটনার সমাধান খুঁজতে গিয়েছিলেন মামলাকারী ব্যক্তি। কিন্তু থানায় যেতেই চরম হেনস্থার স্বীকার হন তিনি। পুলিশের বিরুদ্ধে দুর্ব্যবহারের অভিযোগও করেছেন তিনি। তারপরেই আদালতে (Calcutta High Court) বাগুইআটি থানার এএসআই-এর বিরুদ্ধে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ এনেছেন রাজারহাট গোপালপুরের বাসিন্দা ইমাদুল বিশ্বাস।
আরও পড়ুন: বদলে গেল সব নিয়ম! উচ্চ মাধ্যমিক সংসদের বিরাট পদক্ষেপ, চাপ বাড়বে?
তাঁর আইনজীবী তরুণজ্যোতি তিওয়ারি জানিয়েছেন, বাগুইআটি থানার এএসআই এমডি রেজাউল সুরক্ষা দেওয়ার নাম করেই নাকি আবেদনকারীর কাছ থেকে দু’লক্ষ টাকা ঘুষ চেয়েছেন বলে অভিযোগ।এই ঘটনায় পুলিশের ভূমিকায় বেজায় ক্ষুব্ধ কলকাতা হাই কোর্ট। এপ্রসঙ্গে আদালতের পর্যবেক্ষণ, ওই অভিযুক্ত ব্যক্তি পুলিশ হলেও ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ধারাগুলিই সঠিক জানেন না।
বিচারপতির কথায়, তিনি আবেদনকারীকে দিয়ে ৩৫(৩) ধারায় মুচলেকা লিখিয়ে নিয়েছেন, যা তিনি আইনত করতে পারেন না। একইসাথে এদিন বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ এদিন বলেন, ‘এক জন এসআই বিএনএসএস ৩৫(৩) ধারায় কী ভাবে মুচলেকা লিখিয়ে নিলেন? কেন থানায় তলব করে তথ্য চাওয়া হল না? তার পরিবর্তে কেন মুচলেকার নোটিস দেওয়া হল?’
এদিন বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটের অধীনে সমস্ত থানাকে পর্যাপ্ত ধারা প্রয়োগের বিষয় অবগত করার নির্দেশ দিয়েছে হাই কোর্ট। একইসাথে নতুন নোটিস তৈরি করতে বলা হয়েছে। উভয় পক্ষের বক্তব্য শুনে এদিন বিচারপতি ঘোষের অভিমত, জমি বিবাদের কারণে কোনও পক্ষকে যাতে হেনস্থার শিকার হতে না হয়, পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকেরা তা নিশ্চিত করবেন। এছাড়া আবেদনকারীকে অকারণে থানায় ডাকা যাবে না।