বাংলা হান্ট ডেস্কঃ দিন কয়েক আগে শ্রীরামপুরের রাম নবমীর মিছিলে অনুমতি দিয়েছিল কলকাতা হাই কোর্ট (Calcutta High Court)। এবার হাওড়ার ক্ষেত্রেও একই রায় দিল আদালত। সোমবার বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের বেঞ্চে মামলার শুনানি ছিল। তখন জাস্টিস সেনগুপ্ত স্পষ্ট বলেন, রাজ্য পুলিশ যদি ২০০ লোকের শোভাযাত্রা সামাল দিতে না পারে তাহলে কিছু বলার নেই!
এদিন মামলার শুনানির সময় বিচারপতি বলেন, ‘যদি ২০০ লোকের শোভাযাত্রা সামাল দিতে পুলিশ না পারে, তাহলে কিছু বলার নেই। কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ভিড় সামলানোর নির্দেশ দিতে হবে’। উল্লেখ্য, হাওড়ায় বিশ্ব হিন্দু পরিষদের রাম নবমীর মিছিল (Howrah Ram Navami Rally) নিয়ে আপত্তি করেছিল রাজ্য। সেই নিয়েই এহেন মন্তব্য করেন বিচারপতি সেনগুপ্ত।
গতবার রাম নবমীর (Ram Navami) মিছিলকে কেন্দ্র করে গণ্ডগোল হয়েছিল। প্রধান বিচারপতি NIA তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন। সেই বিষয়টিকে হাতিয়ার করেই শোভাযাত্রার রুট বদলের আর্জি জানিয়েছিল রাজ্য। তবে বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, ২০০ লোকের শোভাযাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা অসম্ভব নয়।
আরও পড়ুনঃ বিরাট মিথ্যে বলেছেন মমতা-অভিষেক! ‘প্রমাণ’ সহ হাটে হাঁড়ি ভাঙলেন শুভেন্দু, রাজ্যে বিরাট কাণ্ড
এদিন বিচারপতি সেনগুপ্ত (Justice Joy Sengupta) বলেন,রাজ্য যদি চায় তাহলে মিছিল নিয়ন্ত্রণের জন্য কেন্দ্রের কাছে বাহিনী চাইতে পারে। তবে সেক্ষেত্রে ২৪ ঘণ্টা আগে জানাতে হবে। একইসঙ্গে বাহিনী চাওয়ার এই আবেদন নোডাল অফিসার আইজি সিআরপিএফকে-ও দিতে হবে বলে নির্দেশ দেয় আদালত।
এদিন রাজ্যের আইনজীবী অমিতেষ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, গত বছর রাম নবমীর মিছিলকে কেন্দ্র করে যেখানে যেখানে ঝামেলা হয়েছিল সেটার তদন্ত করছে NIA। ইতিমধ্যেই ১১ জন গ্রেফতার হয়েছেন। তাই এবার রুট বদল দরকার। একথা শুনেই জাস্টিস সেনগুপ্ত জিজ্ঞেস করেন, মাত্র ২০০ জনের মিছিল নিয়ন্ত্রণ করার মতো বাহিনী রাজ্যের নেই? ভোটের জন্য গিয়েছে? সেক্ষেত্রে কেন্দ্রের থেকে বাহিনী চাইতে হবে।
একইসঙ্গে হাই কোর্টের তরফ থেকে বলা হয়েছে, মিছিলে যদি ২০০ জনের বেশি লোক থাকে তাহলে সেটার দায় হবে সংগঠনের ৫ জনে। তাঁরা মিছিল নিয়ন্ত্রণ করবেন। পুলিশকে সেই ৫ জনের নাম জানিয়ে রাখতে হবে। শোভাযাত্রায় একটি গাড়ি ব্যবহারের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। পাশাপাশি অস্ত্র ব্যবহারে মানা করা হয়েছে।