২০১৭ সালের পর ২২-এও একই কাণ্ড! প্রাথমিক TET নিয়ে এবার বিরাট পদক্ষেপের পথে হাইকোর্ট

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ২০১৭ সালের পর ২০২২ সালেও প্রাথমিকের টেটের (Primary TET) প্রশ্নপত্রে ভুরি ভুরি ভুল থাকার অভিযোগ সামনে আসে। সেসব ঘিরে একাধিক মামলা দায়ের হয় কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court)। এর আগে দুটি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র যাচাইয়ে যাদবপুর ও বিশ্বভারতী এই দুই বিশ্ববিদ্যালয়কে দিয়ে পৃথক কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। এবার প্রতিটি বিষয়ের জন্য পৃথক কমিটি গঠন করার চিন্তাভাবনা শুরু করেছে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ।

এর আগে আদালতে জমা পড়া একাধিক অভিযোগের ভিত্তিতে কলকাতা হাইকোর্টের একক বেঞ্চ দুই সালের জন্য দুটি পৃথক কমিটি গঠন করে এক্সপার্ট অপিনিয়ন দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল। তবে সেই রায় চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে মামলা হয়। ডিভিশন বেঞ্চে যায় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। এবার প্রতিটি বিষয়ের জন্যই পৃথক কমিটি গড়ার কথা ভাবছে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ।

প্রসঙ্গত প্রাইমারি টেট পরীক্ষায় মোট পাঁচটি বিষয়ে ভুল প্রশ্ন নিয়ে মামলা হয়েছিল। এই নিয়েই এবার বিষয় ভিত্তিক কমিটি গঠন করার ভাবনা। প্রসঙ্গত গত শুক্রবার টেটের ভুল প্রশ্নের মামলার শুনানি শেষে রায়দান স্থগিত রেখেছে হাইকোর্ট। আগামীকাল বুধবার এই মামলার রায়দানের সম্ভাবনা।

এর আগে গত এপ্রিল মাসে ২০১৭ এবং ২০২২ সালের টেট পরীক্ষার ভুল প্রশ্নপত্র নিয়ে পদক্ষেপ করে কলকাতা হাইকোর্ট। ২০১৭-র টেট পরীক্ষার ভুল প্রশ্নপত্র যাচাই করে দেখতে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাহায্য চায় কলকাতা হাইকোর্ট। বল হয়েছিল, প্রাথমিক শিক্ষা সংসদকে আরও একবার বিতর্কিত উত্তর খতিয়ে দেখে তাদের বিশেষজ্ঞদের মতামত ও মামলাকারীদের ওই প্রশ্নের সাথেই বিশ্বভারতীয় উপাচার্যের কাছে পাঠাতে হবে। একই ভাবে ২০২২ সালের টেট পরীক্ষার ভুল প্রশ্নপত্র যাচাই করে দেখতে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে দিয়ে বিশেষ কমিটি গড়ার নির্দেশ দিয়েছিল উচ্চ আদালত। বলা হয়েছিল বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে বিস্তারিত রিপোর্ট সংগ্রহ করতে হবে।

Calcutta High Court

আরও পড়ুন: সুদ সমেত সমস্ত বকেয়া মেটাতে হবে! শিক্ষকের করা মামলায় বিরাট নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের

প্রসঙ্গত, ২০১৭ এবং ২০২২ সালের টেট-ও প্রশ্নপত্রে ভুল থাকার অভিযোগ উঠে মামলা হয়েছিল। মামলাকারী পরীক্ষার্থীদের অভিযোগ ছিল ভুল প্রশ্নের কারণে তাদের সমস্যায় পড়তে হয়েছে। উল্লেখ্য, ২০২২ সালের প্রাইমারি টেট পরীক্ষায় প্রথমে ১৩টি প্রশ্নে ভুল আছে বলে অভিযোগ সামনে আসে। পরে সেই সংখ্যা বেড়ে হয় ১৫ তারপর ২১। সবশেষে মোট ২৩টি ভুল প্রশ্ন ছিল বলে মামলা হয়। ১৫০টি প্রশ্নের মধ্যে ২৩টি প্রশ্ন কিভাবে ভুল হতে পারে এই নিয়ে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের ভূমিকায় তীব্র ক্ষোভপ্রকাশ করেছিল আদালত।


Sharmi Dhar
Sharmi Dhar

শর্মি ধর, বাংলা হান্ট এর রাজনৈতিক কনটেন্ট রাইটার। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৩ বছর ধরে সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত ।

সম্পর্কিত খবর