বাংলা হান্ট ডেস্কঃ প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় নয়া মোড়। যে কালীঘাটের কাকু (Kalighater Kaku) ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রর (Sujoy krishna Bhadra) কণ্ঠস্বরের নমুনা নিয়ে এত টালবাহানা, বুধবার সেই রিপোর্টই আদালত জমা দিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট ওরফে ইডি (Enforcement Directorates)। কাকু’র কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহের প্রায় সাড়ে তিন মাস পর অবশেষে কলকাতা হাই কোর্টে (Calcutta High Court) তার ফরেন্সিক রিপোর্ট।
আগেই শোনা গিয়েছিল কাকুর কণ্ঠস্বরের নমুনা মিলে গিয়েছে। এবার সরাসরি কলকাতা হাইকোর্টে রিপোর্ট পেশ করে ইডি জানাল, তারা যা সন্দেহ করেছিল, তাই মিলে গিয়েছে। যদিও কোন কথোপকথনের সঙ্গে কণ্ঠস্বরের নমুনা মিলিয়ে দেখা হয়েছে, সেই বিষয়ে স্পষ্ট করে আদালতে কিছু জানানো হয়নি। এদিকে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ইডির পেশ করা সংক্ষিপ্ত রিপোর্ট দেখে অসন্তোষ প্রকাশ করেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা।
বুধবার আদালতে পাঁচ পাতার রিপোর্ট জমা করেছে ইডি। কণ্ঠস্বর সংগ্রহের প্রায় সাড়ে তিন মাস পর যে রিপোর্ট দেওয়া হয়েছে তার মধ্যে তিন পাতা জুড়ে ‘কাকু’র কণ্ঠস্বরের তথ্য রয়েছে। বাকি দু’পাতায় প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ইডির সার্বিক তদন্তের রিপোর্ট। ‘রিপোর্ট এত সংক্ষিপ্ত কেন?’, এই নিয়েই অসন্তুষ্ট হন বিচারপতি সিনহা।
রিপোর্ট পেশ করে ইডি জানায়, এখনও পর্যন্ত ‘লিপস অ্য়ান্ড বাউন্ডস’ এর মোট ১৩৪ কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় এজেন্সি পাঁচ পাতার রিপোর্ট পেশ করতেই পাল্টা বিচারপতি বলেন, ‘‘২০১৪ সাল থেকে যে দুর্নীতি হচ্ছে, তাতে বাজেয়াপ্ত সম্পত্তির পরিমাণ এত কম কেন? টাকার অঙ্কই বা এত কম কেন?’’ ইডির পেশ করা রিপোর্ট দেখে তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করেন জাস্টিস সিনহা।
আরও পড়ুন:ভোটের আগেই জয়! BJP প্রার্থী শান্তনু ঠাকুরকে নিয়ে বিরাট নির্দেশ কলকাতা হাই কোর্টের
বাজেয়াপ্ত সম্পত্তির পরিমাণ শুনে ইডি-র উদ্দেশে বিচারপতি সিনহার প্রশ্ন, “অভিযোগ উঠেছে যে টাকার বিনিময়ে চাকরি বিক্রি হয়েছে। এটা একটা স্ক্যাম। সত্যিই কি চাকরি বিক্রি হয়েছে? তার কি কোনও প্রমাণ আপনারা পেয়েছেন? এই টাকার উৎস কী জানতে আপনারা কি কোনও পদক্ষেপ করেছেন?” উত্তরে কেন্দ্রীয় সংস্থার আইনজীবী জানায়, ‘ আরও কিছু সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার প্রক্রিয়া চলছে। সংশ্লিষ্ট দফতরের কাছ থেকে তার জন্য অনুমতি চাওয়া হয়েছে। প্রতিদিনই তদন্ত এগিয়ে চলেছে। ‘