বাংলা হান্ট ডেস্কঃ রাজ্যের (Government of West Bengal) রিপোর্টে সন্তুষ্ট নয় কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। সেই প্রেক্ষিতে এবার একগুচ্ছ নির্দেশ দিয়ে দিল প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানমের (Justice TS Sivagnanam) ডিভিশন বেঞ্চ। রাজ্যকে আরও একটি রিপোর্ট দিতে বলার পাশাপাশি আরও বেশ কিছু নির্দেশ দিয়েছে আদালত। ইতিমধ্যেই এই নিয়ে শুরু হয়েছে চর্চা।
কোন মামলায় রাজ্যের রিপোর্টে অসন্তুষ্ট হাইকোর্ট (Calcutta High Court)?
মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে মথুরাপুরের স্বাস্থ্যকেন্দ্র সংক্রান্ত একটি মামলার শুনানি ছিল। সেই শুনানিতে রাজ্যের তরফ থেকে রিপোর্ট দেওয়া হয়। অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত বলেন, মথুরাপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে মাত্র ১১ কিলোমিটার দূরে আরও একটি ১০০ শয্যার হাসপাতাল রয়েছে।
সেই সঙ্গেই হাসপাতালে আরও ১০টি শয্যা, পানীয় জল, অতিরিক্ত আরেকটি বিল্ডিং ওপিডি ইত্যাদির বন্দোবস্ত করা হচ্ছে। তবে হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি পরিষ্কার জানিয়ে দেন, রাজ্যের এই রিপোর্টে সন্তুষ্ট নয় আদালত। মথুরাপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের (Mathurapur Primary Health Centre) উন্নয়নে রাজ্যকে আরও সক্রিয় হতে হবে। সেই সঙ্গেই আরও বেশ কিছু নির্দেশ দেওয়া হয়।
আরও পড়ুনঃ DA নিয়ে সরকারি কর্মীদের সঙ্গে টানাপড়েন! এর মাঝেই ‘এই’ কর্মীরা যা করলেন… চাপ বাড়ল সরকারের?
ওই হাসপাতাল থেকে ১১ কিলোমিটার দূরে আরেকটি হাসপাতাল রয়েছে একথা ঠিক। তবে সেখানে যাতায়াতের সুব্যবস্থা না থাকার দরুন প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ওপরই নির্ভর করে থাকে সাধারণ মানুষ। সেই কারণে প্রিন্সিপ্যাল সেক্রেটারি ফ্যামিলি অ্যান্ড ওয়েলফেয়ারকে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ, ওই হাসপাতালে ১০ শয্যা বাড়াতে আনুমানিক কত সময় ও কত খরচ হতে পারে সেই সকল তথ্য একটি রিপোর্ট আকারে দিতে হবে।
সেই সঙ্গেই হাসপাতালে একটি অ্যাম্বুলেন্সের বন্দোবস্ত করতে হবে বলে নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ স্পষ্ট জানিয়েছে, প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে অ্যাম্বুলেন্স এবং নার্সিং কেয়ার থাকতে হবে।
অন্যদিকে হাইকোর্টে (Calcutta High Court) শুনানি চলাকালীন মামলাকারীর আইনজীবী ফিরদৌস শামিম অভিযোগ করেন, মামলাকারীকে হুমকি দিচ্ছেন স্থানীয় রাজনৈতিক কর্মীরা। তার জমি পিএইচইকে তুলে দিতে চাপ দেওয়া হচ্ছে।