বাংলা হান্ট ডেস্কঃ নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। লোকসভা ভোটের মাঝেও এই নিয়ে চর্চা অব্যাহত। এবার যেমন এই মামলায় মুখ্যসচিবকে কড়া বার্তা দিল কলকাতা হাই কোর্ট (Calcutta High Court)। ‘এই অপরাধের গুরুত্ব বুঝতে ব্যর্থ হয়েছেন মুখ্যসচিব’, মন্তব্য করেন বিচারপতি জয়মাল্য বাগচি।
নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (Recruitment Scam Case) রাজ্যের একাধিক হেভিওয়েট নেতা-মন্ত্রীর পাশাপাশি বহু সরকারি আধিকারিকদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। তাঁদের মধ্যে বেশ কয়েকজন গ্রেফতার হয়েছেন। বর্তমানে জেলবন্দি। তবে তাঁদের বিচারপ্রক্রিয়া শুরু করতে দরকার মুখ্যসচিবের (Chief Secretary) অনুমতি। তিনি অনুমতি না দেওয়ায় নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার সরকারি আধিকারিকদের জেরা করা যাচ্ছে না। যে কারণে আটকে রয়েছে মামলার তদন্ত।
অনুমতি দিতে দেরি হওয়ায় প্রথমে মুখ্যসচিবকে ভার্চুয়ালি আদালতে হজিরা দিতে বলা হয়। তিনি রাজি হননি। এরপর সশরীরে হাজিরা দেওয়ার কথা বলা হয়। পরবর্তীকালে অবশ্য রাজ্য আবেদন করায় সেই নির্দেশ ফিরিয়ে নেন বিচারপতি। এরপর মুখ্যসচিবের কাছ থেকে হলফনামা চায় হাই কোর্ট। তিনি সেই হলফনামা জমা দিলেও, আদালত তাতে সন্তুষ্ট নয় বলে খবর।
আরও পড়ুনঃ ভোটের আগে জোর ধাক্কা! কংগ্রেস নয়, বিজেপি প্রার্থীকে সমর্থনের ঘোষণা বিনয় তামাংয়ের
বর্তমানে হাই কোর্টের বিচারপতি জয়মাল্য বাগচি এবং বিচারপতি গৌরাঙ্গ কান্তের ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলা চলছে। সম্প্রতি মুখ্যসচিবকে কার্যত সতর্ক করে জাস্টিস বাগচি বলেন, ‘এই অপরাধের গুরুত্ব বুঝতে ব্যর্থ হয়েছেন মুখ্যসচিব। ট্রায়ালের জন্য অবিলম্বে অনুমতি দরকার। নিজের দায়িত্ব পালনেও তিনি ব্যর্থ। তাহলে কি এবার ধরে নেব, যারা গ্রেফতার হয়েছেন তাঁরা এতটাই প্রভাবশালী যে মুখ্যসচিবও সিদ্ধান্ত নিতে পারছেন না? ২ মে-র মধ্যে সিদ্ধান্ত জানাতে বলেছে হাই কোর্ট।
বিচারপতি বাগচি এবং বিচারপতি কান্তের ডিভিশন বেঞ্চ এদিন জানতে চায়, এই বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের কিছু করার আছে কিনা। পাশাপাশি আদর্শ নির্বাচনী আচরণবিধি এক্ষেত্রে লাগু হচ্ছে কিনা সেটাও জানতে চাওয়া হয়। এজি কিশোর দত্ত এর জন্য খানিকটা সময় চেয়ে নেন। বিচারপতি এরপর কার্যত কড়া ভাষায় বলেন, ‘শেষবারের মতো বললাম, নাহলে এবার আদালত অবমাননার রুল জারি করতে বাধ্য হব’।