বাংলা হান্ট ডেস্কঃ শিক্ষকের (Teacher) করা মামলায় কড়া পর্যবেক্ষণ কলকাতা হাই কোর্টের (Calcutta High Court)। রাজ্যকে বড় নির্দেশও দিল উচ্চ আদালত। আদালতের স্পষ্ট নির্দেশ, জালিয়াতি বা ভুল তথ্য পেশ, এই সম্পর্কিত অভিযোগ যদি না থাকে তাহলে অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারীকে (Government Employees) প্রদান করা অতিরিক্ত টাকা ফেরত চাওয়া যায় না।
ঘটনাটা ঠিক কি?
রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন এক অবসরপ্রাপ্ত এক শিক্ষিক। প্রধান শিক্ষক হিসেবে অবসর নেন তিনি। ওই শিক্ষক যে বিদ্যালয়ে কর্মরত ছিলেন তা আগে দশম শ্রেণী পর্যন্ত ছিল। ২০০২ সালের জুলাই মাসে বিদ্যালয়টি দ্বাদশ শ্রেণীতে উন্নীত হয়।
বিদ্যালয়টি দ্বাদশ শ্রেণীতে উন্নীত হওয়ার সূত্রে আবেদনকারী শিক্ষকের বেতন বৃদ্ধির অনুমোদন করেন অতিরিক্ত জেলা স্কুল পরিদর্শক। শিক্ষকের বেতন বৃদ্ধি হয় রাজ্য স্কুল শিক্ষা দফতরের ডিরেক্টর অফ অ্যাকাউন্টের জারি করা সরকারি মেমো অনুযায়ী। বেসিক ভাতার উপর ৩% ইনক্রিমেন্ট এবং অতিরিক্ত গ্রেড পে হিসেবে দুশো টাকা করে অবসর নেওয়া পর্যন্ত পেয়েছেন।
এদিকে অবসরের পর জেলার স্কুল পরিদর্শক জানান, ২০০৯ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারির পর যদি কোনও বিদ্যালয় দ্বাদশ শ্রেণীতে উন্নীত হয় তাহলে সেখানকার প্রধান শিক্ষককে ইনক্রিমেন্ট বরাদ্দ করা যায় না। এরপরই মামলাকারী শিক্ষকের অবসরকালীন পাওনা অর্থ আটকে দেওয়া হয়। এবং প্রদেয় বাড়তি অর্থও ফেরত দিতে বলা হয়।
আরও পড়ুন: চেনাই মুশকিল! গায়ে ব্লেজার, গলায় স্কার্ফ বেঁধে র্যাম্প ওয়াক! সব্বাইকে চমকে দিলেন সুকান্ত
এরপরই হাইকোর্টে মামলা করেন ওই শিক্ষক। প্রথমে মামলা ওঠে হাইকোর্টের সিঙ্গেল বেঞ্চে। ২০২১ সালের জুন মাসে কলকাতা হাইকোর্ট আবেদনকারীর পক্ষে রায়। এদিকে পাল্টা সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয় রাজ্য সরকার। সেই মামলা উঠেছিল বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন ও বিচারপতি প্রসেনজিৎ বিশ্বাসের ডিভিশন বেঞ্চে। তবে সেখানেও বহাল রইল সিঙ্গেল বেঞ্চের নির্দেশই। রাজ্যের আবেদন খারিজ করে মামলাকারী শিক্ষকের পক্ষেই রায় দিল কলকাতা হাইকোর্ট।